ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের একটি কার্যালয় চালুর বিষয় প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত পরাষ্ট্রসচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী।
প্রধান উপদেষ্টার যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে বুধবার (৪ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
রুহুল আলম বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফলকার টুর্ক যখন ঢাকা সফরে ছিলেন তখন সিদ্ধান্ত হয়েছিল তাদের একটা অফিস অস্থায়ীভাবে খোলা হবে। সেটার মূল কাজ হবে সংস্কার কমিশনের যেসব প্রতিবেদন হবে সেগুলোর বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা। এটার জন্য অফিস করলে তাদের সুবিধা হবে।
ঢাকায় অফিস না থাকলে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের অফিসে সংস্থাটির একজন জ্যৈষ্ঠ উপদেষ্টা কাজ করেন জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এই অফিস কিন্তু বাংলাদেশে কাজ করছে। এই অফিসের একজন জ্যৈষ্ঠ উপদেষ্টা জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর অফিসে বসে কাজ করছেন। শুধু এখন তারা জনবল বাড়াতে চাচ্ছে আর সঙ্গে একটা স্বতন্ত্র অফিস চাচ্ছে। এটা হচ্ছে অস্থায়ী।
‘সেজন্য এটা আমরা এখনো যাছাই করছি। প্রক্রিয়া হচ্ছে। তবে এটা প্রক্রিয়াধীন।’
এদিকে, আজ ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস জানান, ঢাকায় ছোট পরিসরে শিগগিরই একটি অফিস খুলতে যাচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ।
আবাসিক সমন্বয়কারী বলেন, ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের কার্যালয় চালুর বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের দিক থেকে একটি সমঝোতা স্মারক চূড়ান্ত অবস্থানে রয়েছে। আমরা সমঝোতা স্মারকটি সই করার অপেক্ষায় রয়েছি। আশা করছি, শিগগিরই এটি সই হবে।
গোয়েন লুইস বলেন, আমরা ছোট পরিসরে বাংলাদেশে একটি কার্যালয় চালু করব। এটি চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়ে সহযোগিতা করা সম্ভব হবে।
গত বছরের অক্টোবরে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফলকার টুর্কের ঢাকা সফরের সময় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের একটি কার্যালয় চালুর কথা বলা হয়েছিল। সে সময় ফলকার টুর্কের সঙ্গে বৈঠকের পর সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছিলেন, একটি খুব বড় সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখানে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের একটি কার্যালয় চালু হবে। অফিসটি চালু হলে যে সুবিধাটি আমাদের সবচেয়ে বেশি, সেটা হচ্ছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রগুলো তারা সরাসরি তদন্ত করতে পারবে।
সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সমালোচনা শুরু হয়। ওই সমালোচনা ঠেকাতে পরবর্তী সময়ে ভিন্ন বার্তা দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, মানবাধিকার পরিষদের কার্যালয় করার বিষয়ে আরও যাচাই-বাছাই করা হবে। পরে বুঝে-শুনে সিদ্ধান্ত হবে।
এসএন