প্রায় পাঁচ বছর পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রাণ ফিরেছে জাতীয় স্টেডিয়ামে। ভুটানের বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। তবে মাঠের এই জয়গাথার মাঝেই দেখা গেছে এক দৃষ্টিকটু দৃশ্য, যা নতুন করে ভাবনায় ফেলেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে)।
ম্যাচের ৭০ মিনিটে পশ্চিম গ্যালারির গ্রিল ডিঙিয়ে এক দর্শক মাঠে ঢুকে পড়েন এবং জাতীয় দলের মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরীর সঙ্গে ছবি তোলার চেষ্টা করেন। যদিও নিরাপত্তা কর্মী ও পুলিশ সদস্যরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে তাকে মাঠ থেকে সরিয়ে দেন, এই ঘটনায় স্পষ্ট হয়ে ওঠে নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা। শুধু তাই নয়, কয়েক মিনিট পর দক্ষিণ গ্যালারিতেও আরেক দর্শক একই কাণ্ড ঘটানোর চেষ্টা করেন, তবে এবারও তৎপর নিরাপত্তা বাহিনী তাকে আটকে দেয়।
সাধারণত আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাঠের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে কঠোর। কিন্তু এই প্রীতি ম্যাচে সেই মান বজায় রাখা যায়নি। দ্বিতীয়ার্ধে বাফুফে সহ-সভাপতি ফাহাদ করিমকে মাঠের পাশে মুঠোফোন ব্যবহার করতে দেখা যায়, যা আরও প্রশ্নের জন্ম দেয়। নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা কম্পিটিশন কমিটির সদস্য তাজওয়ার আউয়াল খেলা শুরুর আগ থেকেই মাঠে সরব উপস্থিতি দেখালেও গ্যালারি থেকে দর্শক মাঠে প্রবেশ ঠেকানো যায়নি।
বাফুফের জন্য এটি একটি বড় অ্যালার্ম সিগন্যাল। অতীতে ক্লাব পর্যায়ের ম্যাচে দর্শক মাঠে প্রবেশের ঘটনায় এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) ১০-২০ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা করেছে। আগামী ১০ জুন জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ সিঙ্গাপুর। এই ম্যাচে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে বড় অঙ্কের জরিমানা তো বটেই, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তিও প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।
ভুটানের বিপক্ষে জয় যেমন আশাজাগানিয়া, নিরাপত্তা ব্যবস্থার এই ঘাটতি তেমনি হতাশাজনক। মাঠে জয় পেলেও মাঠের বাইরে বাফুফের এই পরাজয় নিয়ে এখনই কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।
এমআর