আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে আগেই। তাই কিছুটা নির্ভার হয়েই চিলির বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল আলবিসেলেস্তেরা। চিলির বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে জয় তুলে নেয় আর্জেন্টিনা। তবে এই জয়টিকে একতরফা মনে করার কোনো সুযোগ রাখলেন না কোচ লিওনেল স্কালোনি। একইসঙ্গে জাতীয় দলে অভিষেক হওয়া তরুণ তারকা ফ্রাঙ্কো মাস্তান্তুয়োনোর নিয়েও জানালেন নিজের আবেগঘন অনুভূতি।
চিলির লড়াকু মানসিকতা ও দ্বিতীয়ার্ধের আধিপত্যকে যথাযোগ্য সম্মান জানিয়েছেন স্কালোনি। ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে স্কালোনি বলেন,‘চিলি সবসময়ই কঠিন প্রতিপক্ষ। আজও তারা প্রমাণ করেছে নিজেদের শক্তি। দ্বিতীয়ার্ধে তারা আমাদের চাপে রেখেছিল, গোলেরও কাছাকাছি গিয়েছিল একাধিকবার।’ তিনি আরও বলেন,‘আমরা পিছিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করিনি। কিন্তু তাদের পারফরম্যান্সেই আমাদের রক্ষণাত্মক হতে বাধ্য হতে হয়েছে। প্রথমার্ধে আমরাই ছন্দে ছিলাম, তবে দ্বিতীয়ার্ধ পুরোপুরি ছিল চিলির নিয়ন্ত্রণে।’
এই ম্যাচে ১৭ বছর ২৯৫ দিন বয়সে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক ঘটে রিভার প্লেটের মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্কো মাস্তান্তুয়োনো । এই অভিষেকের মাধ্যমে তিনি আর্জেন্টিনার হয়ে সবচেয়ে কম বয়সে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়েছেন। তরুণ এই প্রতিভা সম্পর্কে স্কালোনির ভাষ্য,‘ওর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। আমরা চাই ধীরে এগিয়ে যাক। ওর ওপর চাপ না দিয়েই অভিষেক করিয়েছি। মাঠে নামানোর সময় শুধু বলেছিলাম— ‘ডান দিকে যাও’। সময় দিলে ও আমাদের বড় সম্পদ হয়ে উঠবে।’
মেসির মাঠে নামা নিয়ে এই বিশ্বকাপজয়ী কোচ বলেন,‘ম্যাচে লিওনেল মেসিকে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামানোর পরিকল্পনা থাকলেও, নিকোলাস পাজ ইনজুরিতে পড়ায় সেই পরিকল্পনা আগেই বাস্তবায়ন করতে হয়।’
নিকো পাজের ইনজুরি নিয়ে জানান,‘নিকোর প্যারালাইটিক (সংকুচিত মাংসপেশীর) ইনজুরি হয়েছিল, একটু ব্যথা পেয়েছিল। আমরা কোনো ঝুঁকি নিইনি। এমন ম্যাচে সেটা দরকারও ছিল না। আশা করি ওর বড় কিছু হয়নি।’
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ঘরের মাঠে চিলির এই হারের পর ২০২৬ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের দৌড় থেকে আপাতত ছিটকে গেছে ভিদাল-সানচেজরা। এ নিয়ে স্কালোনির মত,‘যারা একসময় ইতিহাস গড়েছিল, তাদের বদলানো সহজ নয়। তবে সময় বদলেছে। এখন তরুণদের সুযোগ দিতে হবে। নতুন প্রজন্মই ভবিষ্যতের আশা।’
টিকে/টিএ