রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর (আরসিবি) শিরোপা উদযাপনে পদপিষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় এবার সরাসরি বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয় সমাজকর্মী এইচএম বেঙ্কটেশ কাবন পার্ক থানায় এই মামলা করেন। তার অভিযোগ, কোহলির জন্যই স্টেডিয়ামের বাইরে এত বেশি সমর্থক জড়ো হয়েছিল এবং পদপিষ্ট হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরও কেন উৎসব চালিয়ে যাওয়া হলো, তা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (৪ জুন) ব্যাঙ্গালুরুতে আরসিবির আইপিএল বিজয় উৎসবে শামিল হতে গিয়ে ১১ জন প্রাণ হারান। কাবন পার্ক থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বেঙ্কটেশের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে এবং তদন্ত প্রক্রিয়া চলার সময় অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা হবে। এখনই কোহলির বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলে জানানো হয়েছে। জানা গেছে, ঘটনার পরপরই কোহলি স্ত্রী আনুশকা শর্মা এবং সন্তানদের নিয়ে লন্ডনে পাড়ি দিয়েছেন।
এদিকে, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিজয়োৎসবের দায়িত্বে থাকা ডিএনএ এন্টারটেইনমেন্ট এবং কর্নাটক রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (কেএসসিএ) বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত এফআইআর দায়ের করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। গ্রেফতারের আশঙ্কা করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কর্নাটক ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারা। সেই মামলার শুনানিতে শুক্রবার (৬ জুন) বিচারপতি এসআর কৃষ্ণ কুমার নির্দেশ দিয়েছেন যে, পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে কোনো কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।
এছাড়াও, কর্নাটক ক্রিকেট বোর্ডের যে সব কর্মকর্তা এই মামলায় জড়িয়ে পড়েছেন, তাদেরও আদালতের অনুমতি ছাড়া রাজ্যের বাইরে যেতে নিষেধ করেছেন বিচারপতি। তিনি আরও নির্দেশ দিয়েছেন যে, বোর্ডের কর্মকর্তাদের তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ইতোমধ্যে বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনারকে বরখাস্ত করেছেন এবং পুলিশের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তাকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) তিনি জানিয়েছিলেন, আরসিবি এবং কেএসসিএ কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার সরকার।
চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে বিপর্যয়ের ঘটনায় কর্নাটক হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা শুনছে এবং রাজ্য সরকারের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছে। সেখানেই কর্নাটক সরকার জানিয়েছে, এ ঘটনার তদন্ত করবে সিআইডি এবং একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হচ্ছে। ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের রিপোর্ট ১৫ দিনের মধ্যে চাওয়া হয়েছে এবং সিদ্দারামাইয়া সরকার আদালতে জানিয়েছে যে কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না। যদিও আদালতের এই নির্দেশে বোর্ডের কর্তারা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন।
টিএ/