ইতালিয়ান কিংবদন্তি কোচ কার্লো আনচেলত্তি ব্রাজিল জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর নিজের বিশ্বস্ত সহকর্মীদের নিয়ে একটি দৃঢ় কোচিং ইউনিট গঠনে মনোযোগী হয়েছেন। এবার সেই দলে যুক্ত হলেন তার নিজের ছেলে দাভিদে আনচেলত্তি। ইতালিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের অনুমোদন পেয়ে তিনি এখন থেকে ব্রাজিল দলের সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করবেন। মঙ্গলবার সাও পাওলোতে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচেও ডাগআউটে দেখা যাবে তাকে।
৩৫ বছর বয়সী দাভিদে আনচেলত্তির এই পদে আসা ছিল অনেকটাই প্রত্যাশিত। ২০১২ সালে পিএসজি-তে প্রথমবার বাবার কোচিং স্টাফে যুক্ত হয়েছিলেন তিনি, এরপর থেকে রিয়াল মাদ্রিদ, বায়ার্ন মিউনিখ, নাপোলি ও এভারটনে বাবার সঙ্গে থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন। ‘স্পোর্টস সায়েন্সে’ ডিগ্রিধারী দাভিদে ইতিমধ্যেই পেয়েছেন ‘ফিফা প্রো লাইসেন্স’। ফলে তার নিয়োগে পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার ছাপ স্পষ্ট।
তবে তার ব্রাজিল অভিযানে একটু বিলম্ব হয়েছিল রেঞ্জার্স (স্কটল্যান্ড) এবং ডিপোর্তিভো লা কোরুনিয়া (স্পেন) ক্লাব থেকে প্রস্তাব পাওয়ার কারণে। অবশেষে সেই অধ্যায় না এগোনোয় তিনি বাবার পাশে ব্রাজিল মিশনে নামছেন।
ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘দাভিদে আনচেলত্তির অ্যাকাডেমিক ভিত্তি মজবুত, তার অভিজ্ঞতা বিশাল এবং সে আমাদের দলের টেকনিক্যাল ইউনিটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
এদিকে শুক্রবার সাও পাওলোতে পৌঁছে করিন্থিয়ান্স ক্লাবের জোয়াকিম গ্রাভা ট্রেনিং সেন্টারে অনুশীলনে নামে ব্রাজিল দল। যারা ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচে খেলেননি, তাদের নিয়ে অনুশীলন চালান আনচেলত্তির দুই সহকারী, পল ক্লেমেন্ট এবং ফ্রান্সেস্কো মাউরি। অন্যদিকে ম্যাচে খেলা ফুটবলাররা জিমেই সীমাবদ্ধ থাকেন।
বিশ্রামে থাকা রাফিনিয়ার মাঠে ফেরা নিয়েও আশাবাদী কোচিং স্টাফ। ইকুয়েডরের বিপক্ষে নিষেধাজ্ঞার কারণে না খেললেও, প্যারাগুয়ের বিপক্ষে শুরুর একাদশে থাকতে পারেন বার্সেলোনার এই ফরোয়ার্ড।
এদিকে, ইকুয়েডরের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়ের পর বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পয়েন্ট তালিকায় ব্রাজিল আছে চতুর্থ স্থানে, ২২ পয়েন্ট নিয়ে। তবু আনচেলত্তি জানিয়েছেন, তার লক্ষ্য স্পষ্ট: ‘বিশ্বকাপের জন্য কোয়ালিফাই করা, ব্রাজিলকে আবার বিশ্ব ফুটবলের শীর্ষে নেওয়া।’
দাভিদে আনচেলত্তিকে সঙ্গে নিয়ে সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের পথে আরেক ধাপ এগোলেন কার্লো আনচেলত্তি।
এসএম/টিএ