উয়েফা নেশন্স কাপের ফাইনালে পর্তুগালের হয়ে খেলতে নামার সময় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বয়স ৪০ পেরিয়ে গেছে। এদিকে, প্রতিপক্ষ স্পেনের লামিনে ইয়ামালের বয়স ময়তে ১৭। আন্তর্জাতিক ফুটবলে রোনালদোর যাত্রা শুরু ২০০৩ সালে, অন্যদিকে ইয়ামালের জন্ম তার চার বছর পর।
সেরা সময় পেছনে ফেলে আসলেও রোনালদো এখনও গোলের সামনে ভয়ঙ্কর। সেমিফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে পর্তুগালের জয়সূচক গোলটা তিনিই করেছেন। আর ফ্রান্সের বিপক্ষে স্পেনের জয়ে জোড়া গোল এসেছে ইয়ামালের পা থেকে। ফাইনালে নিজ নিজ দলের বড় ভরসাও তারাই।
আগামীকাল রোববার (৮ জুন) জার্মানির অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় উয়েফা নেশন্স লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে পর্তুগাল ও স্পেন। এই ম্যাচের মূল আকর্ষণ রোনালদোর সঙ্গে লামিন ইয়ামালের দ্বৈরথ। রোনালদো পাঁচবার জিতেছেন ব্যালন ডি'অর। সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়দের একজনের তিনি।
অন্যদিকে ইয়ামাল ১৭ বছর বয়সেই বিশ্বসেরাদের একজন। এমনকি এই মৌসুমের ব্যালন ডি'অরের অন্যতম ফেবারিট প্রতিযোগী।
চলতি মৌসুমটা দারুণ কাটিয়েছেন ইয়ামাল। ১৮ গোল ও ২৫ অ্যাসিস্ট করে বার্সেলোনাকে লা লিগা ও কোপা দেল রে'র শিরোপা জেতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও দলকে সেমিফাইনালে তুলেছিলেন। কিন্তু ইন্টার মিলানের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে বার্সাকে।
বয়স ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ব্যর্থতার কারণেই সম্ভাব্য ব্যালন ডি'অরজয়ীর তালিকা থেকে ইয়ামালের নাম কেটে দিচ্ছেন রোনালদো। প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের খেলোয়াড়ের হাতেই তিনি এ মৌসুমের ব্যালন ডি'অর দেখছেন।
একই সঙ্গে এতো অল্প বয়সে ইয়ামালের ওপর অতিরিক্ত চাপ দেখে শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন পর্তুগিজ মহাতারকা। নেশন্স লিগের ফাইনালের আগে গণমাধ্যমকে রোনালদো বলেন, 'লামিনে ইয়ামাল দারুণ করছে, সে তার প্রতিভার পূর্ণ ব্যবহার করছে। এখন বাচ্চাটাকে বেড়ে উঠতে দিন এবং তার ওপর অতিরিক্ত চাপ দেবেন না। তাকে সময় দিন এবং ভালোভাবে গড়ে উঠতে দিন, তার ওপর থেকে চাপ সরিয়ে দিন। তার প্রতিভার অভাব নেই।'
রোনালদো যোগ করেন, 'এই ব্যক্তিগত পুরস্কারগুলো এখন আর আগের মতো ঐক্যমত্যে হয় না; আমি বলতে পারি না কে জেতা উচিত। আমার মতে, যারা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে এবং নিজেদের উজ্জ্বল করে তোলে, তাদেরই জেতা উচিত।
তবে এখন আর কোনও ঐক্যমত্য নেই। আমি ব্যক্তিগত পুরস্কারে তেমন বিশ্বাস করি না, কারণ আমি জানি পর্দার আড়ালে কী ঘটে। লামিন জিততে পারে, যেমন দেম্বেলে বা ভিতিনিয়াও, যারা উদীয়মান খেলোয়াড়… কিন্তু ব্যক্তিগত পুরস্কারের কোনো গুরুত্ব নেই।'
কিলিয়ান এমবাপ্পেও মনে করেন ওসমান দেম্বেলের হাতেই এবারের ব্যালন ডি'অর জেতা উচিত। ফ্রান্সের এই উইঙ্গার এই মৌসুমে ৩৩ গোল ও ১৫তি অ্যাসিস্ট করেছেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে পিএসজির ৫ গোলের দুটি দেম্বেলের অ্যাসিস্ট থেকেই হয়েছে।
আরএম