দর্শকের মুখে হাসি ফোটানো সহজ কাজ নয়। তবে আজ এই কঠিন কাজটাই করেছেন নারী টেনিসের দুই শীর্ষ তারকা আরিনা সাবালেঙ্কা ও কোকো গফ। ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে অবিশ্বাস্য এক ম্যাচ উপহার দিয়েছেন তারা।
ফিলিপে শাত্রিয়েতের ১৫ হাজার দর্শক নিশ্চিতভাবেই ম্যাচটা উপভোগ করেছেন।
একদম। কেননা ‘বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনীর’ মতোই একে অপরের বিপক্ষে লড়েছেন সাবালেঙ্কা-গফ। এমন ম্যাচেই শেষ পর্যন্ত ৭-৬ (৭-৫), ২-৬, ৪-৬ গেমে জিতে রোল্যাঁ গ্যারো ট্রফিটা নিজের করে নিয়েছেন গফ।
এতে নতুন রানি পেয়েছে ফ্রেঞ্চ ওপেন।
মঞ্চটা প্রস্তুতই ছিল যিনি জিতবেন তিনিই হবেন ক্লে কোর্টের রানি। সেই সুযোগটাই নিয়েছেন আজ গফ। শীর্ষ বাছাই সাবালেঙ্কাকে হারিয়ে।
ফাইনাল এতটাই রোমাঞ্চকর হয়েছে যে ১৯৯৮ সালের পর এবারই প্রথম ফ্রেঞ্চ ওপেনের নারী এককের ফাইনালের প্রথম সেট টাইব্রেকারে নির্ধারিত হয়।
তাতে প্রথম সেট ৭-৬ (৭-৫) ব্যবধানে জিতেন সাবালেঙ্কা। অথচ, সেটটা সহজেই জেতার কথা ছিল তার। কেননা এক সময় ৪-১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন বেলারুশের তারকা। পরে সেই সেটই কি না টাইব্রেকারে নিয়ে যান গফ।
২১ বছর বয়সী গফ যে সহজেই ম্যাচের হাল ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন তা সাবালেঙ্কাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেনিস তারকা।
পুরো ম্যাচেই দৃঢ় চিত্তের মানসিকতায় খেলেছেন বিশ্বের দুই নম্বর তারকা। অন্যদিকে একের পর এক আনফোর্সড এরর করে হতাশা প্রকাশ করতে থাকেন এক নম্বর তারকা।
দ্বিতীয় সেটে সহজ জয়ে ম্যাচ বাঁচান গফ। সাবালেঙ্কাকে ২-৬ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে। পরে তৃতীয় ও শেষ সেটও জিতে আনন্দাশ্রুতে চোখ ভাসিয়ে দেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন হয়েই ছুটে যান গ্যালারিতে থাকা প্রিয় বাবা মায়ের কাছে। ৪-৬ ব্যবধানে জিতে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্লাম চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। তিন বছর আগে অর্থাৎ, ২০২২ ফ্রেঞ্চ ওপেনে ফাইনাল খেলেও রানার আপে কোর্ট ছেড়েছিলেন তিনি। এবার চ্যাম্পিয়ন হয়েই কোর্টে লুটিয়ে পড়ে গ্যালারিতে থাকা মায়ের উচ্ছ্বসিত নাচ দেখলেন তিনি। এর আগে ২০২৩ সালে ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জেতেন ইউএস ওপেনে।
টিকে/টিএ