পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় ধর্মের নামে নির্বিচারে হত্যালীলা ঘটানোর সন্ত্রাসে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নতুন করে ভারতের মনে ক্ষোভ-বিদ্বেষের সঞ্চার হয়েছে। যার জেরে রোষানলে পড়তে হচ্ছে পাকিস্তানি তারকাদেরও। প্রতিবেশী দেশের তারকাদের শোকপ্রকাশ দেখে নেটপাড়ার একাংশ ‘কুম্ভীরাশ্রু’ বলেও কটাক্ষ করেছে। শুধু তাই নয়, বারবার বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগে পাকিস্তানের কোনও শিল্পীকেই ভারতের চৌকাঠ পেরতে দিতে নারাজ সিনে সংগঠনগুলি। জঙ্গিহামলার জেরে প্রতিবেশী দেশের শিল্পীরা যখন রোষানলে, তখন এমন আবহে পাকিস্তানের হানিয়া আমিরের সঙ্গে রোম্যান্সে মজে দিলজিৎ দোসাঞ্ঝ! আর সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছে নেটিজেনরা।
বাস্তবে দিলজিৎ-হানিয়ার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক নেই, তবে ‘সর্দার ৩’ সিনেমায় তাদের জুটি বাঁধার কথা আগেই শোনা গিয়েছিল। সেই ছবির শুটিংও শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। একদিকে যখন পহেলগাঁও কাণ্ডের জেরে ‘আবির গুলাল’-এর মুক্তি আটকে গিয়ে ফাওয়াদ খানের বলিউডে প্রত্যাবর্তনের স্বপ্ন বিশ বাও জলে, তখন হানিয়া আমির কেন ‘সর্দার ৩’ সিনেমার শুটিংয়ে? উঠেছে প্রশ্ন। সেট থেকে ক্যামেরার নেপথ্যের কিছু ছবি শেয়ার করতেই বিপাকে পড়েছেন দিলজিৎ দোসাঞ্ঝ। বিতর্কের স্ফুলিঙ্গ জ্বলে উঠেছে! দিলজিৎ যদিও হানিয়া আমিরকে ট্যাগ করেননি কিংবা তাঁর পোস্টে পাক অভিনেত্রীর নাম নেননি, তবে অনুরাগীরা সেই অ্যালবামে হানিয়াকে খুঁজে বের করেছেন। একটি ফটোতে নীরু বাজওয়ার ঠিক পিছনেই পাক নায়িকার মতো দেখতে একজনকে আবিষ্কার করেছে নেটপাড়া। শুধু তাই নয়, পাঞ্জাবি পপস্টারের পরনে টি শার্টেও নাকি হানিয়ার মুখ উঁকি দিচ্ছে, বলে দাবি তাঁদের। এরপরই নেটপাড়ার একাংশ দিলজিৎকে প্রশ্ন ছুড়েছেন, এত কিছুর পরও কেন হানিয়াকে কাস্ট করা হল? যদিও সেসব বিতর্কে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি অভিনেতা। তবে এই সিনেমায় যদি সত্যিই হানিয়া আমির থাকেন, তবে ছবির ভবিষ্যৎ নিয়ে যে ফের একটা দ্বন্দ্ব বাঁধবে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে, সেটা বলাই বাহুল্য। জুন মাসের ২৭ তারিখ ‘সর্দার ৩’ মুক্তি পাওয়ার কথা।

প্রসঙ্গত, বলিউডে একসময়ে চুটিয়ে কাজ করেছেন রাহাত ফতেহ আলি খান, আতিফ আসলাম থেকে ফাওয়াদ খান, মাহিরা খানের মতো একাধিক শিল্পীরা। তবে পুলওয়ামা কাণ্ডের পর বলিউডের ফিল্ম সংগঠনের কড়া নির্দেশে পাকশিল্পীদের প্রবেশ এদেশে নিষিদ্ধ। তার পর থেকেই পাক নাগরিকরা নানাভাবে বলিউডের খান-কাপুরদের কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করেছে। যদিও এদেশের তারকারা বরাবর বলে এসেছেন, শিল্পীদের কোনও সীমান্ত হয় না, তবে পহেলগাঁও সন্ত্রাসের পর তারাও বেকে বসেছেন! জাভেদ আখতারও বলেছেন, একতরফা সম্পর্ক, সম্মান বজায় থাকে না। এদিকে পহেলগাঁওয়ের পর থেকে ভারতে হানিয়া আমির, মাহিরা খান, আলি জাফর, সজল আলিদের মতো একাধিক পাক তারকার সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টও ব্লক করে দেওয়া হয়েছে।
কেএন/টিএ