শ্রম অধিকার সুরক্ষা, নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং শ্রম আইন বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)-এর কারিগরি সহায়তায় আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (১০ জুন) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আইএলও সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ১১৩তম আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনের প্ল্যানারি সেশনে এ কথা জানান শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
উপদেষ্টা জানান, শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ট্রেড ইউনিয়ন কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অধিকাংশ রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ পুনর্গঠনের কাজ চলছে এবং আন্তর্জাতিক শ্রম মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শ্রম আইন ২০০৬ সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা শিগগিরই কার্যকর হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, শ্রম পরিদর্শন ব্যবস্থাকে জোরদার করতে ১২২ জন নতুন শ্রম পরিদর্শক নিয়োগের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে। পাশাপাশি, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইএলও কনভেনশন C-155, C-187 এবং C-190 অনুস্বাক্ষরের প্রস্তুতি চলছে।
আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরে উপদেষ্টা জানান, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ ও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার ন্যায্য বাণিজ্য, নিরাপদ অভিবাসন এবং প্রযুক্তিগত বৈষম্য কমানোর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। তবে, সম্প্রতি উন্নয়ন সহযোগিতার তহবিলে হ্রাস পাওয়ায় বাংলাদেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং শ্রম খাতে উন্নয়নের জন্য আইএলওর কাছ থেকে আরও কারিগরি সহায়তা প্রত্যাশা করছে।
সম্মেলনে আইএলওর গভর্নিং বডি ফিলিস্তিনকে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সাধুবাদ জানায় এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয়।
এসময় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের প্রতিনিধি, ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ (টিসিসি) সদস্যবৃন্দ এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এফপি/টিএ