টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সাউথ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ২৮২ রানের লক্ষ্যে নেমে এইডেন মার্করাম ও টেম্বা বাভুমার অনন্য ব্যাটিংয়ে ইতিহাস গড়তে চলেছে প্রোটিয়ারা। মার্করামের সেঞ্চুরি ও বাভুমার ফিফটিতে টেস্টে প্রথমবার বিশ্বসেরার মুকুট ঘরে তোলার পথে আর ৬৯ রান দূরে সাউথ আফ্রিকা।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে টসে হেরে আগে ব্যাটে নামে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে ২১২ রানে থামে অজিদের ইনিংস। জবাবে নেমে ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় সাউথ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস। ৭৪ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া থেমেছে ২০৭ রানে।
অজিদের লিড দাঁড়ায় ২৮১ রান। ২৮২ রানের লক্ষ্যে নেমে ২ উইকেটে ২১৩ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করেছে সাউথ আফ্রিকা। মার্করাম ১০২ রানে এবং বাভুমা ৬৫ রানে চতুর্থ দিন শুরু করবেন।
শিরোপা ঘরে তোলার আগেই লর্ডসে ইতিহাস গড়েছে সাউথ আফ্রিকা। ঐতিহ্যবাহী ভেন্যুতে চতুর্থ ইনিংসে কখনো ১১৯ রানের বেশি করতে পারেনি সাউথ আফ্রিকা। লর্ডসে লক্ষ্য তাড়ায় নেমে কেবল একবার টেস্ট জিতেছে প্রোটিয়ারা, ১৯৯৮ সালে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪ রান তাড়া করে।
টেস্টে এপর্যন্ত পাঁচবার ২৫০এর বেশি রান তাড়া করে জিতেছে সাউথ আফ্রিকা। যার তিনবারই অজিদের বিপক্ষে। সবশেষ ২০০৮ সালে পার্থে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪১৩ রান তাড়া করে তারা। এবার আরও একটি জয়ের পথে প্রোটিয়া বাহিনী।
তৃতীয় দিনে মধাহ্ন বিরতির কিছু সময় পর ব্যাটে নামে সাউথ আফ্রিকা। লক্ষ্যতাড়ায় নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় দলটি। দলীয় ৯ রানে ওপেনার রায়ান রিকেলটন ফিরে যান ৬ করে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মুল্ডার ও মার্করাম মিলে যোগ করেন ৬১ রান। দলীয় ৭০ রানে মুল্ডার ফিরে গেলে জুটি ভাঙে। ৫০ বলে ২৭ রান করেন প্রোটিয়া টপঅর্ডার। এরপর টেম্বা বাভুমাকে নিয়ে ১৪৩ রানের অপ্রতিরোধ্য জুটি গড়ে দিনের খেলা শেষ করেন মার্করাম।
১১টি চারে ১৫৬ বলে সেঞ্চুরি করেন মার্করাম। টেস্টে মার্করামের অষ্টম সেঞ্চুরি এটি। ৮৩ বলে ফিফটি করা বাভুমা দিন শেষ করেন ৬৫ রানে।
অজিদের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে দুটি উইকেটই নিয়েছেন মিচেল স্টার্ক।
দুই উইকেট হাতে রেখে ২১৮ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। ৮ উইকেটে ১৪৪ রানে তৃতীয় দিনের খেলায় ফিরে শুরুতেই উইকেট হারায়। ২ রান করা নাথান লায়ন ফিরে যান। ১৪৮ রানে নবম উইকেট হারানোর পর জশ হ্যাজেলউডকে নিয়ে ৫৯ রানের জুটি গড়ে সংগ্রহ ২০৭ রানে পৌঁছান মিচেল স্টার্ক। ৫৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন।
নয় নম্বরে নেমে স্টার্কের অষ্টম ফিফটি এটি। টেস্ট ইতিহাসে নয় বা তার নিচে নামা ব্যাটারের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ ফিফটির রেকর্ড। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্টুয়ার্ট ব্রডের ৬টি ফিফটি।
দ্বিতীয় ইনিংসে প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে কাগিসো রাবাদা ৪ উইকেট নেন। লুনগি এনগিদি শিকার করেন ৩ উইকেট। মার্কো জানসেন, উইয়ান মুল্ডার ও এইডেন মার্করাম নেন একটি করে উইকেট।
আরএম