ছয় বছর ধরে নিখুঁতভাবে গড়া লোকেশ কানাগারাজের সিনেম্যাটিক ইউনিভার্স এবার ঢুকছে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অধ্যায়ে। ‘কাইথি ২’ শুধু একটি সিকুয়েল নয়, এটি এক রক্তগরম সংঘর্ষের ক্ষেত্র— যেখানে মুখোমুখি হবে দিল্লি আর রোলেক্স। আর এই যুদ্ধের মাঝখানে এসে দাঁড়াবেন বিক্রম নিজেই, অর্থাৎ কামাল হাসান।
‘কাইথি’ ছবিতে কারাগার থেকে বের হওয়া এক সাহসী মানুষ হিসেবে দিল্লি ছিলো দর্শকের হৃদয়ের খুব কাছে। আর ‘ভিক্রম’ সিনেমায় সূরিয়ার রোলেক্স চরিত্র হয়ে উঠেছিলো ঠান্ডা মাথার ভয়াবহ অপরাধ জগতের এক ছায়াসত্য। এবার এই দুই চরিত্র মুখোমুখি। পরিচালক লোকেশ কানাগারাজ জানিয়ে দিয়েছেন, এই সিনেমা হবে এক রুদ্ধশ্বাস সংঘাতের কাহিনি, যেখানে শুধু রক্ত নয়, থাকবে আবেগ, প্রতিশোধ আর নৈতিক জিজ্ঞাসার ভয়াল প্রতিধ্বনি।
সবচেয়ে বড় চমক, কামাল হাসানের ‘ভিক্রম’ এবার আর অতিথি চরিত্র নয়। তিনি থাকবেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায়। এই ট্রায়ো— কার্থির ‘দিল্লি’, সূরিয়ার ‘রোলেক্স’ আর কামালের ‘ভিক্রম’— মিলে তৈরি করতে চলেছে এক অগ্নিগর্ভ মঞ্চ। নির্মাতারা বলছেন, এই সিনেমা হবে পুরো লোকেশ ইউনিভার্সের কেন্দ্রবিন্দু।
এর আগে ‘লিও’ আর ‘ভিক্রম’ দিয়ে যা শুরু করেছিলেন লোকেশ, এবার ‘কাইথি ২’-এর মাধ্যমে তিনি সেটা এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিতে চলেছেন। তামিল সিনেমার ইতিহাসে একের পর এক চরিত্র আর গল্পকে গেঁথে তৈরি হচ্ছে এই সংযুক্ত দুনিয়া, যার প্রতিটি ধাপেই রয়েছে বিস্ফোরণ, ভাঙন আর উত্তেজনার স্রোত।
সব ঠিকঠাক চললে ‘কাইথি ২’ শুধু বক্স অফিস কাঁপাবে না, বরং দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমাকে আন্তর্জাতিক মানের ইউনিভার্স গঠনের পথে নিয়ে যাবে। কারণ, এই সিনেমা এখন আর আলাদা কোনো গল্প নয়— এটি এক মহাযুদ্ধের প্রথম আওয়াজ।