মৌসুমী বৃষ্টিবলয়ের প্রভাবে ৩ বিভাগে বন্যার আশঙ্কা

বেশ কয়েকদিন ধরে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থায় দিন কাটছিল দেশবাসীর। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল জনজীবন। দেশজুড়ে চলমান এ তাপপ্রবাহের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ ও মৌসুমী বৃষ্টিবলয় 'রিমঝিম' অতিবাহিত হচ্ছে বলে স্বস্তির বার্তা দিয়েছে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)।

‘রিমঝিম’ চলতি বছরের ষষ্ঠতম বৃষ্টিবলয় এবং দ্বিতীয় মৌসুমী বৃষ্টিবলয়। যা ১৬ জুন দেশের উপকূলীয় এলাকা হয়ে আগামী ২৮ জুন সিলেট ও চট্টগ্রাম হয়ে দেশ অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)।

দেশের প্রায় সব এলাকায় ‘রিমঝিমের’ প্রভাব পড়লেও সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে।

এ ছাড়া রংপুর, বরিশাল, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগে বেশ সক্রিয় থাকবে রিমঝিম। আর অপেক্ষাকৃত কম সক্রিয় থাকবে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে।

এ সময় রংপুর, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের নিচু এলাকায় বন্যা হতে পারে। কালবৈশাখীর আশঙ্কা না থাকলেও কমবেশি বজ্রপাত হতে পারে। উপকূলীয় এলাকায় বয়ে যেতে পারে দমকা হাওয়া। আর মৌসুমী বায়ুর চাপের তারতম্যের কারণে বেশিরভাগ সময়ই সাগর কিছুটা উত্তাল থাকবে বলে জানিয়েছে বিডব্লিউওটি।

এদিকে বৃষ্টি ও মেঘলা আকাশ থাকায় খুশি নগরবাসী। তবে কেউ কেউ অতিবর্ষণে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগের কথাও বলেন তারা।

এদিকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকাসহ সারা দেশে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাবাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। একই সাথে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় লঘুচাপের কারণে দেশের দক্ষিণ উপকূলীয় ও সমূদ্র অঞ্চলে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে মৌসুমী বায়ুপ্রবাহ সক্রিয় থাকায় দেশের রংপুর, রাজশাহী ছাড়া বাকি বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় ভারি থেকে অতি ভারি বষর্ণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এছাড়া বিক্ষিপ্তভাবে পুরো দেশেই বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির।

তিনি আরও বলেন, উপকূল ও সকল সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর সতকর্তা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছ।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল সন্দীপে ৭৬ মিলিমিটার এবং ঢাকায় সাত মিলিমিটার। সারা দেশ আরও কিছু দিন ভারি বৃষ্টি পাত হতে পারে। তবে দক্ষিণাঞ্চলের তুলনায় উত্তর ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে কম বৃষ্টিপাত হবে। ফলে অনেকটাই কমছে ভ্যাপসা গরম।

আরআর/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় সব পক্ষের প্রতিনিধিত্ব নেই : এনসিপি Jun 17, 2025
img
২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেল ২ জনের Jun 17, 2025
জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন রুহুল-আনিসুল, কী ঘটছে জাপায়? Jun 17, 2025
পাঁচ দেশে নতুন মিশন খুলছে বাংলাদেশ Jun 17, 2025
মধ্যপ্রাচ্যের আকাশ জ্বলছে! যুদ্ধ নাকি ধ্বংসের শুরু Jun 17, 2025
img
আবারও বিতর্কে বলিউড অভিনেতা টাইগার শ্রফের ‘বাঘী’ সিরিজ Jun 17, 2025
img
উৎসবমুখর নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা চায় বিএনপি : আমিনুল হক Jun 17, 2025
img
জীবনে পরিবারকে সময় দিতে পারিনি : আমির খান Jun 17, 2025
img
আবারও তেহরান-তেল আবিবে পাল্টাপাল্টি হামলা Jun 17, 2025
img
টেস্টের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের লক্ষ্য নিয়ে বললেন মুশফিক Jun 17, 2025
img
১৮০ কোটি বাজেটের ‘অখণ্ড ২’, বালাকৃষ্ণের সবচেয়ে বড় বাজি Jun 17, 2025
img
মধ্যপ্রাচ্যে ‘শান্তির খেলোয়াড়’ ভ্লাদিমির পুতিন, রাজি নয় নেতানিয়াহু Jun 17, 2025
img
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত রাশিয়া Jun 17, 2025
img
সিকান্দারের সাথে প্রযোজকের ১২৮ কোটি টাকাও ডুবলো Jun 17, 2025
img
আগামী সংসদ নির্বাচনে ১০০ নারী সদস্যের সংরক্ষিত আসনের ব্যাপারে সবাই একমত : আলী রীয়াজ Jun 17, 2025
img
তেলুগু ছবিতে ‘আখণ্ডা’ ঝড়: দ্বিতীয় কিস্তির পরই আসছে তৃতীয় পর্ব Jun 17, 2025
মধ্যপ্রাচ্যের আকাশ জ্বলছে! যুদ্ধ নাকি ধ্বংসের শুরু Jun 17, 2025
img
আপনি বিদেশে বসে বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না, প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে রেজাউল করীম Jun 17, 2025
img
খুলনায় এ বছর প্রথমবারের মতো করোনা শনাক্ত Jun 17, 2025
img
বলিউডে কিয়ারার জাদুকরী এক যুগ Jun 17, 2025