ইরান ও ইসরায়েলের মাঝে চলমান সংঘাতের মধ্যস্থতা করতে রাশিয়া প্রস্তুত আছে। তবে ইসরায়েল বাইরের মধ্যস্থতায় আগ্রহী নয়।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ এই তথ্য জানিয়েছেন।
পেশকভ বলেছেন, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালনে প্রস্তুত আছে রাশিয়া। কিন্তু ইসরায়েল বাইরের কোনও মধ্যস্থতায় আগ্রহ দেখাচ্ছে না।
গত শুক্রবার ইরানের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালাতে শুরু করেছে ইসরায়েল। তেহরানের পরমাণু অস্ত্র অর্জনের সক্ষমতা ধ্বংস করাই এই হামলার লক্ষ্য বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। তবে ইরান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এর জবাবে ইসরায়েলের সামরিক ও সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানও।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, প্রয়োজনে শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী হতে প্রস্তুত আছে রাশিয়া।’’
তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে আমরা ইসরায়েলের পক্ষ থেকে যেকোনও ধরনের মধ্যস্থতায় অনীহা দেখতে পাচ্ছি। তারা শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে আসতেও আগ্রহ দেখাচ্ছে না।’’
তবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রোববার বলেছিলেন, ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার হামলা চালানোর কারণে রাশিয়া এখন মধ্যস্থতার জন্য উপযুক্ত নয়।
ইরান বলেছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় গত পাঁচদিনে অন্তত ২২৪ জন নিহত ও আরও কয়েকশ আহত হয়েছেন। নিহতদের মাঝে দেশটির সামরিক কমান্ডার, পরমাণু বিজ্ঞানী ও বেসামরিক জনগণ রয়েছে। রোববারের পর থেকে হতাহতের এই সংখ্যা আর হালনাগাদ করেনি তেহরান।
অন্যদিকে, ইরানের হামলায় ইসরায়েলে অন্তত ২৪ জন নিহত ও শত শত মানুষ আহত হয়েছেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর হতাহতের এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।
গত কয়েক বছরে ইরানের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক ব্যাপক জোরদার করেছে রাশিয়া। তবে ইসরায়েলের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে দেশটি। যে কারণে ইরান-ইসরায়েলের এই সংঘাতে মস্কো মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালনের প্রস্তাব দিতে পারছে।
সূত্র: এএফপি।
পিএ/টিএ