বলিউডে বহুদিন পর এমন এক কমেডি ছবি এল, যেটা নিয়ে যতই সমালোচনা হোক না কেন, শেষ কথা বলল বক্স অফিস। ‘হাউসফুল ৫’ নিয়ে ট্রেলার বেরনোর পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল আর নেতিবাচক আলোচনা চলছিল। অনেকেই বলেছিলেন, এই ফ্র্যাঞ্চাইজি এবার হয়তো ক্লান্ত। কিন্তু সব সমালোচনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ছবিটি বক্স অফিসে প্রমাণ করল—যদি বাজেট হয় মোটা, তারকা থাকেন দলে, আর হাসির ছড়াছড়ি থাকে পর্দায়, তবে দর্শক কিন্তু হলমুখী হয়।
দেড় হাজারের বেশি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই ‘হাউসফুল ৫’ রীতিমতো চমক দেখাচ্ছে। প্রায় দুইশ চল্লিশ কোটি টাকার বাজেটে তৈরি এই ছবি ইতিমধ্যেই সেই খরচ উঠে গেছে। সিনেমা হলে বিক্রি হওয়া টিকিটের পাশাপাশি ছবির ডিজিটাল স্বত্ব, স্যাটেলাইট স্বত্ব আর গানের স্বত্ব বিক্রি করেই ছবির নির্মাতারা তুলে ফেলেছেন প্রায় দেড়শ কোটি টাকার আগাম আয়। তার উপর মুক্তির পর বিশ্বজুড়ে চারদিকে ‘হাউসফুল’-এর ডাক।
ছবির সবচেয়ে বড়ো চমক অবশ্যই অক্ষয় কুমার ও রিতেশ দেশমুখের অনবদ্য কমিক কেমিস্ট্রি। সঙ্গে রয়েছে আরেক দল তারকা, যারা পর্দায় এনে দিয়েছেন ঝলমলে একগুচ্ছ মুহূর্ত। পরিচালনায় ছিলেন তরুণ মনসুখানি, যিনি নিজের চেনা ছকেই চালিয়ে নিয়ে গেছেন পুরো গল্প।
ঝাঁ-চকচকে সেট, জমকালো পোশাক, আর ঠাসা হাসির দৃশ্য—সব মিলিয়ে ‘হাউসফুল ৫’ যেন এক নির্ভেজাল বিনোদনের প্যাকেজ। বিশেষ করে পরিবার নিয়ে ছবি দেখতে যাওয়া দর্শকরা পছন্দ করছেন এই ছবিকে, যার জেরে সপ্তাহের মাঝামাঝি দিনগুলোতেও হলগুলোতে দর্শকসংখ্যা ভালোই থাকছে।
এই ছবি প্রমাণ করল, বলিউডে এখনও সেই পুরনো ‘মাস এনটারটেইনমেন্ট’ ঘরানার ছবি জায়গা করে নিতে পারে—যদি সেটা ঠিকভাবে প্যাকেজ করা যায়। নির্মাতা সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা এই জায়গাটায় একদম খাঁটি কাজ করেছেন।
সবশেষে বলা যায়, ‘হাউসফুল ৫’ শুধু আরেকটা সিকুয়েল নয়, বরং এটা বলিউডকে মনে করিয়ে দিল—মজা করতে হলে ক্ষমা চাইতে হয় না। হাসির দুনিয়ায় ঠিকঠাক বিনিয়োগ করলে, দর্শক তার মূল্য ঠিকই চোকায়।
এসএন