গল টেস্টে বোলারদের নিয়ে বাংলাদেশ যে পরিকল্পনা করছে

দিনের শুরুতেই নাজমুল হোসেন শান্তকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে আরো একবার বড় জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম। দুজনেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। তাতে দলও বড় সংগ্রহ পেয়েছে। তবে তাদের বিদায়ের পর লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা দাঁড়াতেই পারেননি। শেষ ২৬ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ফলে দিনের শেষটায় ভক্তদের কিছুটা হলেও হতাশ করেছে টাইগাররা।

গল টেস্টে দ্বিতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেট হারিয়ে ৪৮৪ রান। দুই অপরাজিত ব্যাটার হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা।

দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশের সিনিয়র সহকারী কোচ সালাউদ্দিন বলছিলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে (আমরা) ব্যাটিং খারাপ করেছি শেষ দিকে। আশা করছি সামনে উইকেট আরও ভালো হবে। আমাদের বোলাররা ভালো করবে বলে আশা করছি। ২ জন পেসার আছে আমাদের। যদি তারা ভালো বল করতে পারে তাহলে ভালো কিছু আশা করতেই পারি আমরা। আরও ভালো হতে পারত শেষ সেশনটা। আমার মনে হয় যথেষ্ট রান আছে বোর্ডে। ভালো বল করতে পারলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারব আমরা।'

সালাউদ্দিন আরও বলেন, ‘ইতিবাচকটা (ইতিবাচক দিকটা) ওদের (শ্রীলঙ্কার) বোলিং থেকেই নিতে চাই। যেভাবে বলটা সুইং করিয়েছে আগের ৫ সেশনে কিন্তু সেভাবে দেখিনি। সেটা হলে আমরাও কাজে লাগাতে পারি তাদের কাছ থেকে শিখতে পারি। আমার মনে হয় এই উইকেটে আমাদের স্পিনাররা ভালো করার চেষ্টা করে। পেসাররা যেহেতু জোরে বোলার আছে তারা যদি বলটা ঠিকভাবে মেইনটেইন করতে পারে আমরা এখান থেকে ফায়দা নিতে পারব। বৃষ্টির ব্যাপারে আসলে কিছু করার নাই। আমরা কিছু বাজে শট খেলেছি যে কারণে উইকেট পড়েছে।’

ড্রাইভিং সিটে কারা এমন প্রশ্নের জবাবে সালাউদ্দিন বলেন, ‘এটা আসলে কখনওই বলা যাবে না কারা ড্রাইভিং সিটে। প্রথম দিনে প্রথম সেশন এবং আজকে শেষ সেশনে ভালো করিনি। প্রতিটা সেশনই জিতবে হবে আপনাকে।

চেষ্টা থাকবে যেন প্রতি সেশনই কন্ট্রোল করতে পারি। সেশন বাই সেশন জিততে পারলে ভালো জায়গায় থাকব। উইকেট এখনও ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি। আমার কাছে মনে হয় উইকেট নিতে গেলে আমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হবে। তারা অনেক ভালো বল করেছে। যে কারণে আমাদের ব্যাটারদের রান করতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। এমন না যে খুব ইজি রান আসছে। আমাদেরও পরিশ্রম করতে হবে, তাহলে যে জিনিসটা আমরা চাচ্ছি তা যেন আমাদের বোলাররা করতে পারে।’   

এসএম/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিএনপি ম্যাজিক্যালি সেনাবাহিনীর সমর্থন পেয়েছে : গোলাম মাওলা রনি Jun 19, 2025
img
শত্রু সাপেক্ষে রাষ্ট্রের রাজনীতি ধারণ করেছেন জিয়াউর রহমান : ব্যারিস্টার ফুয়াদ Jun 19, 2025
img
বিএনপি অন্যায় করে না, অন্যায়কারীকে প্রশ্রয়ও দেয় না : আমিনুল হক Jun 19, 2025
img
‘ইসরায়েলের নেতৃত্বের একটি অংশ ক্রিমিনাল’, বললেন ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোরান মিলানোভিচ Jun 19, 2025
img
ইরানের ভূগর্ভস্থ ফোর্দো পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেননি ট্রাম্প Jun 19, 2025
img
মোবাইল-ইন্টারনেট ছেড়ে নিজেকে গড়ছে বৈভব! দ্রাবিড়-মন্ত্রে ‘দীক্ষা’ বিস্ময়-কিশোরের Jun 19, 2025
img
মেলেনি পারিশ্রমিকের কানাকড়িও! অক্ষয়কে অস্বস্তিতে রেখে থমকে ‘ওয়েলকাম টু দ্য জঙ্গল’ Jun 19, 2025
img
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে শুক্রবার জরুরি বৈঠকে বসছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ Jun 19, 2025
img
দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় নতুন রাডার উদ্বোধন Jun 19, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য সামরিক ক্ষমতা সংরক্ষিত রাখছে তেহরান Jun 19, 2025
img
যুদ্ধে জড়ালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতি! ইরানকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই যুক্তরাষ্ট্রের Jun 19, 2025
img
ইসরায়েলকে সমর্থন করায় ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানালেন নেতানিয়াহু Jun 19, 2025
img
কুড়িগ্রামে ট্রাক্টরের চাপায় নিহত ২ Jun 19, 2025
img
স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া Jun 19, 2025
img
সকালে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরছেন ১২৩ বাংলাদেশি নাগরিক Jun 19, 2025
img
হাইফা শহরের বাসিন্দাদের শহর খালি করতে বলল ইরান Jun 19, 2025
img
ইরানে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করে আনতে ‘অপারেশন সিন্ধু’ শুরু করল ভারত Jun 19, 2025
img
আমি যুদ্ধ থামিয়েছি, আমি পাকিস্তানকে ভালোবাসি : ট্রাম্প Jun 19, 2025
img
আমেরিকা এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি এই সংঘাতে সরাসরি যুক্ত হবে কি না: ট্রাম্প Jun 19, 2025
img
তুরস্কের উপর হামলা হলে পাল্টা হামলা চালাতে এক মুহূর্তও দেরি করবে না আঙ্কারা: এরদোয়ান Jun 19, 2025