মন দেওয়া নেওয়ার পর বাগদানও হয়ে গিয়েছিল। তবে বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়নি সম্পর্ক। বাগদানের মাসখানেক পরই জীবনের পথ বদলায় অভিষেক বচ্চন ও কারিশমা কাপুরের। বছর পাঁচেকের সম্পর্কে আচমকা ভাঙনে একেবারে ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবের সাহায্যেই ফের জীবনের ছন্দে ফেরেন তিনি।
সম্প্রতি প্রয়াত হন কারিশমার প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয় কাপুর। আর তারপর থেকেই অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চলছে জোর কাটাছেঁড়া। ঠিক যেমন শিরোনামে উঠে এসেছে কারিশমা ও অভিষেকের প্রেমকাহিনি। কিংবা বচ্চন পরিবারের বধূ হতে না পারার তিক্ত অভিজ্ঞতা। পুরনো এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী কারিশমা কাপুর নিজেই জানিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, “আমি ট্রমায় চলে গিয়েছিলাম। কোনও মেয়ের জীবনে এমন দিন আসুক, তা আমি চাই না। আমি আমার হৃদয়ের সঙ্গে যেন লড়াই করেছি। আর যন্ত্রণা সহ্য করেছি। আমার মনে হয় সময়ই আসল উপশম। আমরা অনেক দূর এগিয়েছিলাম। কিন্তু ভাগ্যের হাতের সকলেই বাঁধা।
তবে সেই সময় সমস্যা সামলানোর মতো প্রস্তুত ছিলাম না। আসলে জীবন নানা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। আর সেই বাধা পেরিয়ে এগিয়ে যেতেই হবে।
অভিনেত্রী আরও বলেন, “আমি সংবাদমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানাই যে সেই সময় আমার পাশে থেকেছে। ওরা আমাকে বুঝেছে। সকলে একা করে দিয়েছিল। যদি আমার বাবা, মা, দিদি কারিনা, দিদা, আমার দুই পিসি এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা পাশে না থাকলে আমি ট্রমা থেকে বেরতে পারতাম না।”
বি-টাউনে কান পাতলে শোনা যায়, বছর পাঁচেক ধরে অভিষেক ও কারিশমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বচ্চন পরিবারের বধূ হওয়ার স্বপ্নও দেখতে শুরু করেছিলেন কারিশমা। ২০০২ সালে বাগদানও হয় তাদের। মাসখানেকের মধ্যে সম্পর্কে ভাঙন। ঠিক কী কারণে দু’জনের জীবনের পথ আলাদা হয়ে যায়, তা কারও জানা নেই।
তবে ‘কফি উইথ করণ’-এর একটি পর্বে অমিতাভ এবং অভিষেক বচ্চন একসঙ্গে যোগ দেন। ওই অনুষ্ঠানে সম্পর্ক ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খোলেন বিগ বি। বলেন, “এটা খুবই আবেগপ্রবণ মুহূর্ত। সম্পর্ক তৈরি হয় আবার ভাঙেও। এটা যেকোনও তরুণ-তরুণীর জন্য সত্যিই খুব কষ্টদায়ক।
পরিবারের জন্যও তা কষ্টদায়ক। আমরা চাই না তেমন কিছু হোক। তবে সত্যি যদি এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যা গোটা পরিবারের জন্য খারাপ তবে দু’টি মানুষের জীবনের পথ আলাদা হয়ে যাওয়াই ভালো। আর সেটাই ঘটেছে।” কারও নাম না করলেও অনেকেরই দাবি, অভিষেক এবং কারিশমার সম্পর্ক এবং বিচ্ছেদ নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিয়েছিলেন বিগ বি।
আরএম