ইরানের পর ইসরায়েলের পরবর্তী লক্ষ্য হতে পারে পাকিস্তানের পারমাণবিক স্থাপনা। এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের সাবেক প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী মেইর মাসরি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘ইরান আমাদের শত্রু। কিন্তু তার সঙ্গে সঙ্গে আরেকটি দেশ আছে, যারা ছায়ার আড়ালে পারমাণবিক আগ্রাসনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেটি হচ্ছে পাকিস্তান।’ মাসরির এমন পোস্টে দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন করে কূটনৈতিক অস্থিরতা ছড়াচ্ছে।
মাসরির মন্তব্য ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে ইসলামাবাদে। ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতি ঘনীভূত হওয়ায় তৃতীয় পক্ষের জড়ানোর আশঙ্কা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে উস্কানিমূলক মন্তব্য করলেন ইসরায়েলের এই সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
এর আগে আশঙ্কা করা হয়েছিল, যদি ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়, তবে পাকিস্তান তা প্রতিহত করতে পাল্টা জবাব দিতে পারে। তবে ইসলামাবাদ সেই জল্পনা সরাসরি উড়িয়ে দেয়। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘আমাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। এটি কেবল জাতীয় নিরাপত্তা ও আত্মরক্ষার জন্য, কোনো দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের উদ্দেশ্যে নয়।’ কিন্তু এই ‘শান্তিপূর্ণ অবস্থান’ ঘোষণার পরই ইসরায়েলি সাবেক প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলি এই হুমকি নিছক ‘ব্যক্তিগত মতামত’ বলে উড়িয়ে দেয়া কঠিন, কারণ সাবেক হলেও মাসরি দেশটির নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের ঘনিষ্ঠ একজন। এই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক মনোযোগ আরও বাড়িয়েছে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র সফর। তিনি ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন। বৈঠক শেষে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি জেনারেল মুনিরের সঙ্গে দেখা করে সম্মানিত বোধ করছি। আমরা আঞ্চলিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ এবং পারমাণবিক স্থিতিশীলতা নিয়ে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করেছি।’
এসএন