আবারও মাঝ আকাশে রক্ষা পেয়ে গেল ভারতের একটি যাত্রীবাহী বিমান। বৃহস্পতিবার রাতে গুয়াহাটি থেকে চেন্নাইগামী ইন্ডিগো বিমানে দেখা দেয় বিপদ। মাঝ আকাশে আচমকা জ্বালানির ঘাটতি টের পান বিমানের চালক। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিপদ সংকেত পাঠান এবং বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। তাতেই রক্ষা পান বিমানের ১৬৮ জন যাত্রী ও কর্মী।
জানা গেছে, বিমানটি বেঙ্গালুরুতে নিরাপদে অবতরণ করলেও ঘটনাটির পরই বিমানের চালককে তাৎক্ষণিকভাবে তার দৈনন্দিন দায়িত্ব থেকে বিরত রাখা হয়েছে। বিমান কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত না করলেও, সূত্রের দাবি, চালককে 'ডি-রোস্টার' করা হয়েছে।
বিমান পরিবহনের ভাষায়, পাইলট যখন বুঝতে পারেন যে বিমান কোনো গুরুতর বিপদে পড়তে যাচ্ছে, তখন তিনি 'মে ডে' সংকেত পাঠান। এটি একটি আন্তর্জাতিক সংকেত, যার মাধ্যমে বিমানের অবস্থান, বিপদের ধরন ও জরুরি সহায়তার প্রয়োজনীয়তা জানানো হয়। সংকেতটি সাধারণত পরপর তিনবার উচ্চারণ করা হয়— "মে ডে, মে ডে, মে ডে"।
এই সংকেতের উৎপত্তি ফরাসি শব্দ ‘মেইডার’ থেকে, যার অর্থ ‘আমাকে সাহায্য করুন’। ১৯২০ সালের দিকে প্রথমবারের মতো এই সংকেত ব্যবহৃত হয় এবং বর্তমানে এটি বৈশ্বিকভাবে বিমান সংযোগ ব্যবস্থায় ব্যবহার করা হয়।
সম্প্রতি আহমেদাবাদ থেকে উড্ডয়নকালে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানে বিপদ সংকেত দিলেও, তাতে রক্ষা হয়নি ২৪২ জন যাত্রীর। সেই দুঃসহ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ফের আরেকটি যাত্রীবাহী বিমানে সংকট দেখা দিল, তবে সৌভাগ্যবশত বিপদ সংকেতের যথাসময়ে প্রয়োগে রক্ষা পেয়ে গেল শতাধিক মানুষ।
ঘটনার পর ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানালেও, এমন ঘটনা বিমান সংস্থার জন্য বড় সতর্কবার্তা হয়ে থাকছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে উঠছে জ্বালানি পর্যবেক্ষণ ও বিমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্নও।
এসএম/টিকে