বলিউড তারকা সালমান খান এবার এক সম্পূর্ণ নতুন রূপে ধরা দিচ্ছেন। স্টাইলিশ নায়কের চেনা ছক ভেঙে তিনি এবার পর্দায় হাজির হচ্ছেন একজন বাস্তবধর্মী ভারতীয় সেনা কর্মকর্তার ভূমিকায়। ২০২০ সালের গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষ অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে নতুন সামরিক নাটকধর্মী ছবি ‘গালওয়ান’, পরিচালনায় আছেন ‘শুটআউট অ্যাট লোকান্ডওয়ালা’খ্যাত অপূর্ব লাখিয়া।
চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে ‘ইন্ডিয়াস মোস্ট ফিয়ারলেস’ নামক আলোচিত গ্রন্থের উপর ভিত্তি করে। এখানে দেখা যাবে বাস্তব যুদ্ধে অংশ নেওয়া এক শৃঙ্খলাবদ্ধ সেনা কর্মকর্তার সংগ্রাম, আত্মত্যাগ ও দেশপ্রেম। সালমান খানের জন্য এটি শুধুমাত্র আরেকটি সিনেমা নয়, বরং তাঁর অভিনয় জীবনের এক মোড় ঘোরানো অধ্যায়।
চরিত্রটির জন্য সালমান সম্পূর্ণ ভিন্ন রকমের শারীরিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন। জিমে তৈরি ভারী দেহ নয়, বরং ক্ষিপ্র ও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত একটি দেহ গড়ে তুলছেন তিনি। তাঁর পরিচিত চেহারা ও চুলের স্টাইলও থাকছে না। চরিত্রের বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখতে ‘মিলিটারি ক্রু কাট’ গ্রহণ করছেন তিনি। ছবির লুক পরীক্ষার কাজ শুরু হবে জুলাই মাসের শুরুতেই, সেখান থেকেই হতে পারে ছবির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।
চলচ্চিত্রের প্রথম ধাপের শুটিং হবে লাদাখে, যেখানে ২৫ দিনব্যাপী শুটিং চলবে আসল যুদ্ধের স্থানজুড়ে। এরপর মুম্বাইয়ের স্টুডিওতে মিলিটারি ক্যাম্প ও সংঘর্ষ দৃশ্য ধারণ করা হবে।
এই ছবির সবচেয়ে চমকপ্রদ দিক হলো—এখানে কোনো তারকাসন্তান, প্রিয় মুখ কিংবা সালমান খানের নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসকেএফের পরিচিত মুখ থাকছে না। বরং গুরুত্বপূর্ণ তিনটি চরিত্রের জন্য নেওয়া হচ্ছে উন্মুক্ত অডিশন। নতুন, দক্ষ অভিনয়শিল্পীদেরই প্রাধান্য দিচ্ছেন পরিচালক ও সালমান নিজে।
‘গালওয়ান’-এর পর সালমান খান আবার কাজ করবেন কবির খানের সঙ্গে। আলোচনা চলছে ‘বজরঙ্গি ভাইজান’-এর দ্বিতীয় পর্ব নিয়েও। তবে আপাতত তাঁর সব মনোযোগ ‘গালওয়ান’ ছবির দিকেই।
এই ছবির মাধ্যমে সালমান খান প্রমাণ করতে চলেছেন—তিনি শুধু পর্দার ‘টাইগার’ নন, বাস্তবতায় ভরা চরিত্রে অভিনয় করতেও সমান দক্ষ। এই সালমান আর আগের মতো নয়—তিনি এখন একজন সৈনিক, যিনি দাঁড়িয়ে আছেন সম্মান, শৃঙ্খলা ও আত্মত্যাগের শুদ্ধ মাটিতে।
এসএম/টিকে