চলমান ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইরানের আটটি প্রতিষ্ঠান, একজন ব্যক্তিকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে। এর পাশাপাশি একটি জাহাজকে অবরুদ্ধ সম্পত্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি এবং জাহাজ ইরানের প্রতিরক্ষা শিল্পের জন্য চীন থেকে সংবেদনশীল যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও পরিবহনে জড়িত।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক বিবৃতিতে শুক্রবার বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্র ইতোপূর্বে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তারা হলো- রায়ান রোশদ আফজার কোম্পানি (আরআরএ) এবং এই কোম্পানির নিয়ন্ত্রিত একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘তোসে সানায়ে নিম রেসানায়ে তারাশে’-এর জন্য সংবেদনশীল যন্ত্রপাতি পরিবহনে সহায়তা করেছে। যে জাহাজটি এই সরবরাহে ব্যবহৃত হয়েছিলো, সেটিকেও অবরুদ্ধ সম্পত্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এই পদক্ষেপ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা স্মারকলিপি-২ অনুসরণ করে গৃহীত হয়েছে। এর লক্ষ্য ছিলো ইরানের উপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ পুনরায় শুরু করা। এই চাপে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র ও আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা অর্জন থেকে বিরত রাখা, ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী এবং তাদের সহযোগীদের অস্থিতিশীল করার কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য রাজস্ব আহরণে বাধা দেওয়া, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বা অন্যান্য বিস্তার-সংক্রান্ত তৎপরতা বন্ধ করা।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্য ও তার বাইরের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করে এমন ইরানি প্রকল্পসমূহে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জাম সংগ্রহের প্রচেষ্টা উদঘাটন ও ব্যাহত করতে তারা সব ধরনের সম্ভাব্য উপায় ব্যবহার করবে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এই পদক্ষেপ এক্সিকিউটিভ অর্ডার ১৩৩৮২ অনুযায়ী নেওয়া হয়েছে, যা গণবিধ্বংসী অস্ত্র বিস্তারে যুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের অনুমতি দেয়।