জাতীয় পার্টির আসন্ন সম্মেলন ঘিরে তীব্র অভ্যন্তরীণ বিরোধে জর্জরিত হয়ে উঠেছে দলটি। গঠনতন্ত্রে চেয়ারম্যানের ‘একচেটিয়া ক্ষমতা’ কমানোর প্রস্তাবকে ঘিরেই মূলত দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। এই অবস্থায় দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের একক সিদ্ধান্তে ২৮ জুনের সম্মেলন স্থগিত করায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে।
দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা বলছেন, গঠনতন্ত্রের ২০(ক) ধারা—যার মাধ্যমে চেয়ারম্যান যাকে ইচ্ছা পদ থেকে অব্যাহতি দিতে পারেন—সেটি বাতিলের দাবি ওঠে। কিন্তু জি এম কাদের তা মানতে রাজি হননি। তার ঘনিষ্ঠ শামীম হায়দার পাটোয়ারী জানান, “চেয়ারম্যান ছাড়া কাউন্সিল বৈধ নয়।”
অন্যদিকে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, রুহুল আমিন হাওলাদার ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, “গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নেতা নির্বাচন ও গঠনতন্ত্র সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে।” চুন্নু জানান, চেয়ারম্যান পরিবর্তনে সম্মত না হলে তিনি মহাসচিব পদে লড়াই করবেন না।
মাসরুর মাওলা বলেন, “যারা দল ছেড়ে গেছেন বা বাদ পড়েছেন, তাদের ফিরিয়ে এনে ঐক্যের বার্তা দেওয়ার সময় এখনই। কাউন্সিলেই তৈরি হতে পারে ঐক্য।” ১৯৯০ সালের পর বহুবার ভাঙনের মুখে পড়েছে জাতীয় পার্টি। এবারও ক্ষমতার ভারসাম্য ও গণতন্ত্র চর্চার প্রশ্নে দলটি বিভক্ত হয়ে পড়েছে। নেতাদের অভিমত, জি এম কাদের সহযোগিতা করলে কাউন্সিল নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে, নাহলে ভাঙনের আরেকটি অধ্যায় শুরু হবে।
আরএম/টিকে