দক্ষিণ থেকে শুরু হয়ে গোটা ভারত দখল, এবার সেই জয়ের তালিকায় যুক্ত হলো টেলিভিশনের নতুন সাফল্য। সিনেমা হলে প্রায় এক হাজার আটশো কোটি টাকা আয় করার পর, হিন্দি টেলিভিশনে প্রিমিয়ার হয়েই ‘পুষ্পা ২’ গড়ল নতুন ইতিহাস। টিআরপি তালিকায় পেছনে ফেলে দিয়েছে বলিউডের বহু হাইপ্রোফাইল সিনেমা এবং এমনকি আইপিএলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ সম্প্রচারকেও।
এই সাফল্যে আল্লু অর্জুন নাম উঠে এল একেবারে শীর্ষ সারিতে, তিনি এখন আর কেবল দক্ষিণী সুপারস্টার নন, বরং এক সর্বভারতীয় পরিচিতি।
‘পুষ্পা ২’-এর এই সাফল্য শুধু বাণিজ্যিক নয়, বরং সাংস্কৃতিকও। টেলিভিশনের পর্দায় হিন্দি ভাষায় ডাব করা ছবি নিয়ে এত উন্মাদনা, এত পুনরায় দেখা, এমন নজির বিরল।
এবারের সাফল্যের পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। আল্লু অর্জুনের অভিনীত পুষ্পা রাজ চরিত্রটি যেমন এক বাস্তবধর্মী অথচ আভিজাত্যহীন নেতার প্রতিচ্ছবি, তেমনই এর সংলাপ, আবেগ ও কাহিনীও সাধারণ দর্শকদের সঙ্গে একাত্ম হতে পেরেছে। ভাইরাল গান, দাপুটে স্ক্রিন উপস্থিতি ও শ্রমজীবী শ্রেণির বাস্তবতা, এই মিশ্রণেই উঠে এসেছে এক নতুন ধরনের তারকা।
‘পুষ্পা ২’ এতটাই আলোড়ন তুলেছে যে ‘পাঠান’, ‘অ্যানিমেল’, এমনকি ‘স্ট্রি ২’ ও আইপিএলের কিছু সম্প্রচার পর্যন্ত তার টিআরপি ছুঁতে পারেনি। এটি কেবল একটি সিনেমা নয়, বরং এক সামাজিক চলমানতা, যা দেখিয়ে দিয়েছে তারকা তৈরির নতুন মানদণ্ড আর মুম্বাই সীমাবদ্ধ নেই।
আল্লু অর্জুন এর আগে ‘পুষ্পা ১’–এর জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছিলেন। এবার ‘পুষ্পা ২’-এর মাধ্যমে তিনি শুধু সেই মর্যাদা ধরে রাখেননি, বরং একধাপ এগিয়ে গেছেন। তাঁর হাতে এখন একাধিক বড় বাজেটের ছবি, আর গুঞ্জন চলছে ‘পুষ্পা ৩’-এর প্রস্তুতি নিয়েও।
শেষ কথা, এই সাফল্য প্রমাণ করে দিয়েছে যে ভারতীয় তারকাত্ব এখন আর ভাষা কিংবা অঞ্চলভিত্তিক নয়। পুষ্পা রাজের মতো চরিত্র ও আল্লু অর্জুনের মতো তারকারা নতুন করে সংজ্ঞা দিচ্ছেন ‘প্যান-ইন্ডিয়া’ তারকা কাকে বলে।
এসএম