সাবেক সিইসি নুরুল হুদাকে নিয়ে রনির মন্তব্য

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিষয়ে সাবেক সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ ও কলাম লেখক গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ পাওয়া আগ পর্যন্ত নুরুল হুদাকে মানুষ হিসেবে ১০০ তে ১০০ নম্বর দিতে হতো। তবে আমাদের রাজনীতি এত খারাপ যে এখানে ফেরেশতাকে ঢুকিয়ে দিলে মুহূর্তের মধ্যেই তিনি ইবলিশ হয়ে যাবেন। নুরুল হুদা সাহেবেরও একই অবস্থা হয়েছে। সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া একটি ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন।

গোলাম মাওলা রনি বলেন, নুরুল হুদা যখন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হলেন, আমি আশা করেছিলাম তিনি খুব ভালো একটি নির্বাচন উপহার দিবেন। জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলাসহ প্রথম থেকে বেশ সাহসী কথাবার্তা বলছিলেন তিনি। তবে তার অধীনে ২০১৮ সালের নির্বাচন ছিল রাতের ভোট। যার কারণে তিনি খুবই কুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে গ্রেপ্তার করার আগে মব তৈরি করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, আমাদের দেশের সংস্কৃতি হলো খুব ভালো মানুষ, নিরপেক্ষ এবং একেবারে দলকানা না হলে সাধারণত কাউকে ডিসি হিসেবে কোন রাজনৈতিক সরকার মনোনয়ন দেয় না। এদিকে নুরুল হুদা মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ মাইন্ডেড ছিলেন সেটা সবাই জানে। কিন্তু তারপরও তিনি বিএনপির সময় ডিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। কিন্তু শেখ হাসিনার আমলে তিনি লোভে পড়ে তার যে অধঃপতন হয়, সেটা এত নীচু পর্যায়ে চলে গেছিল যা কল্পনা করতে পারিনি।

গোলাম মাওলা রনি আরো বলেন, নূরুল হুদার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকার পরেও তিনি আমার অনেক ক্ষতি করেছেন। এজন্য দীর্ঘশ্বাস থাকলেও তার গলায় জুতোর মালা পরানো হবে; তার পরিবারের পরিজনের সামনে সন্তানের বয়সী ছেলেরা গালে জুতো মারবেন, এটা কেয়ামত পর্যন্ত আমি দেখবো বলে কল্পনা করিনি।

এই মবের নিন্দা ও যারা এসব করেছেন তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে রনি বলেন, এই ঘটনা আমাদের দেশের রাষ্ট্রের স্থিতিকে কাঁপিয়ে দিয়েছে, ফলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার ভেরিফাইড পেজ থেকে বিবৃতি দিতে বাধ্য হয়েছেন।  


ইউটি/এসএন


Share this news on:

সর্বশেষ

img
দর্শকদের ভালো কিছু উপহার দিতে একটু বিরতি দরকার: পারসা ইভানা Jun 24, 2025
img
ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার পর হামলা হয়নি, দাবি নেতানিয়াহুর দেশের Jun 24, 2025
img
ইরান আর কখনও পরমাণু প্রকল্প পুনরুজ্জীবিত করতে পারবে না : দাবি ট্রাম্পের Jun 24, 2025
img
নেতানিয়াহু ‘বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন’ মনে করেন ট্রাম্প Jun 24, 2025
img
ইরানজুড়ে বিজয় উৎসব Jun 24, 2025
img
ফের নতুন লুকে রণদীপ Jun 24, 2025
img
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন ৬ মাসের মধ্যে Jun 24, 2025
img
ছাতক সীমান্তে ২০ জন বাংলাদেশিকে বিএসএফের পুশ ইন Jun 24, 2025
img
ট্রাম্পকে পাত্তা না দিয়েই ইরানে ইসরায়েলের হামলা Jun 24, 2025
img
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের মামলায় প্রসিকিউশন আরো দুই মাস সময় পেলেন Jun 24, 2025
img
মাদক মামলায় গ্রেফতার অভিনেতা, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ Jun 24, 2025
img
বেনাপোল থেকে গ্রেফতার আ. লীগ নেতা লিটন কারাগারে Jun 24, 2025
img
নগর ভবনে হামলাকারীদের সঙ্গে উপদেষ্টা আসিফের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে : ইশরাক Jun 24, 2025
img
পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে পূর্ব পরিকল্পনা ছিল ইরানের Jun 24, 2025
img
ইসরায়েলি হামলায় আরেক ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত Jun 24, 2025
img
চলমান সংঘাতে ইরানে ৬১০ জনের প্রাণহানি Jun 24, 2025
img
সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে হেনস্তা, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হানিফ গ্রেফতার Jun 24, 2025
img
‘মব ভায়োলেন্স বন্ধ করা যাচ্ছে না, তবে আগের চেয়ে কমেছে’ Jun 24, 2025
img
‘সংস্কারের প্রশ্নে কোনো আপস নেই’ Jun 24, 2025
img
চট্টগ্রামে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বাসদ নেতা নিহত Jun 24, 2025