লাল-সবুজের জার্সিতে খেলা আরও স্বপ্নভঙ্গ হল মোসাদ্দেকের। এবার যেন জাতীয় দলের দরজাটা একরকম বন্ধই হয়ে গেল তার জন্য। যতই ভাল খেলুক না কেন, জাতীয় দলে কেন যেন হবে না আর জায়গা। তাহলে কি এভাবেই হারিয়ে যাবেন ধারাবাহিক পারফর্মাররা? কেন বারবার অবহেলার শিকার হতে হবে সৈকতদের?
সম্প্রতি শেষ হওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয় আবাহনী। আর সেই চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর অধিনায়কত্ব করেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
ব্যাটে-বলেও দুর্দান্ত পারফর্ম করে নির্বাচিত হন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়ার। ঘরোয়া ক্রিকেটে এমন ধারাবাহিকতা নজর কাড়ে সবার। তখন মোসাদ্দেক ধরেই নেন এবার যেন জায়গা নিশ্চিত হয়ে গেল টাইগার স্কোয়াডে। প্রত্যাশা করেন নিজের নাম দেখবেন শ্রীলংকার বিপক্ষের ওয়ানডে স্কোয়াডে।
স্কোয়াড ঘোষণার সময় সাংবাদিকের প্রশ্নেও জবাবেও পাওয়া এমন ইঙ্গিত। অবশ্য এমন আশা করবেনই না কেন। তুঙ্গে ছিল ফর্ম, আর ঝুলি ভর্তি ছিল অভিজ্ঞতা। দেশের হয়ে খেলার জন্য আর কী চাই? নিজেকে প্রমাণ করতে আর কী কী করতে হবে মোসাদ্দেককে? কিন্তু যতটা জোরালো ছিল তার প্রত্যাশা, ততটাই রুক্ষ হল বাস্তবতা।
অবশ্য মোসাদ্দেককে নিয়ে আশার বুলি আওড়ালেন নির্বাচক গাজী আসরাফ হোসেন লিপু। তিনি বলেন, 'আমি মনে করি না এই মুহূর্তে জাতীয় দলে মোসাদ্দেকের জায়গা হওয়া উচিত। তবে তার প্রতিদ্বন্দ্বী মেহেদী হাসান মিরাজ দলে ভালো করছেন। ও দলে থাকলে আপাতত মোসাদ্দেকের সুযোগ নেই।”
এই বক্তব্যই যেন সৈকতের জন্য শেষ শব্দ—যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাকে বিবেচনায় রাখার জায়গা নেই।
আরএম/এসএন