২০২৬ সালের জানুয়ারিতে মুক্তির কথা ‘জননায়কন’-এর। থালাপতি বিজয়ের অভিনীত শেষ ছবি হিসেবে ঘোষিত এই ছবির প্রতি আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। কিন্তু শুটিং শেষের আগে থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে এক ভিন্ন বিষয়—নায়িকা মামিথা বাজুর এক খোলামেলা মন্তব্য।
একটি টক শো-তে মামিথা বলেন, “বিজয় আন্না নিজেই বলেছিলেন, ‘সবকিছু নির্বাচনের ফলাফলের উপর নির্ভর করে। যদি জিতি, তাহলে ফুল-টাইম রাজনীতি। যদি না জিতি… দেখা যাবে।’” মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় এই বক্তব্য। নেটিজেনদের মধ্যে শুরু হয় আলোচনা, ট্রোল, মিম, এমনকি ভবিষ্যদ্বাণী।
যেখানে একপক্ষ বলছে, বিজয়ের রাজনীতিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত আদতে এক স্ট্র্যাটেজিক চাল—যদি না জেতেন, তাহলে আবার সিনেমায় ফিরে আসার রাস্তা খোলা। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গেছে, “২০২৬ কামব্যাক ছবির প্রি-প্রোডাকশন শুরু”—এই ধরনের বিদ্রুপ পোস্ট। আবার অন্যদিকে, থালাপতির অনুরাগীরা বলছেন, তিনি কখনও নিজের কথা থেকে সরে যান না। তিনি বলেছিলেন, ‘জননায়কন’ হবে তাঁর বিদায়ী ছবি, সেটাই হবে।
এই বিতর্ক নতুন করে উসকে দিল থালাপতির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন। তিনি কি সত্যিই রাজনীতিকে পরবর্তী জীবনের একমাত্র পথ হিসেবে বেছে নিচ্ছেন, নাকি অপেক্ষা করছেন ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে?
তবে বিষয়টি একমাত্র মামিথার মন্তব্য নয়—এই প্রশ্ন শুরু হয়েছিল আগেই, যখন বিজয় ঘোষণা করেন ‘জননায়কন’ হবে তাঁর শেষ সিনেমা। পরিচালনায় এইচ. বিনোথ, প্রযোজনায় কেভিএন প্রোডাকশনস, সঙ্গীতে অনিরুদ্ধ, সঙ্গে সঞ্জয় দত্ত ও মামিথা বাজুর মতো গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র—সব মিলিয়ে এটি হতে চলেছে থালাপতির বিদায়ী ছবির জন্য এক উপযুক্ত মঞ্চ।
সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া টিজার ‘First Roar’-এ বিজয়ের দুর্দান্ত উপস্থিতি ইতিমধ্যেই প্রমাণ করেছে, তিনি পর্দা ছাড়লেও দর্শকদের মন থেকে মুছে যাওয়ার নয়। মুক্তির দিন নির্ধারিত হয়েছে ২০২৬ সালের ৯ জানুয়ারি, সঙ্ক্রান্তি উৎসবের ঠিক আগে—যেখানে দক্ষিণ ভারতের বক্স অফিস যুদ্ধে বড়সড় প্রতিযোগিতা হবে।
তবে এই ছবির সাফল্যের চেয়েও এখন আলোচনায় বিজয়ের রাজনৈতিক অবস্থান। মামিথা বাজুর মন্তব্য যেন সেই দোলাচলের জ্বালায় আরেক ঘি ঢেলে দিল।
২০২৬ সালের নির্বাচন যে বিজয়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের রায় হয়ে উঠবে—তা যেন এখন স্পষ্ট।
এসএন