গত ৭ জুন ছিল প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রতিষ্ঠার অন্যতম স্বপ্নদ্রষ্টা নবাব স্যার সলিমুল্লাহর ১৫৩তম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে নানা আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থী ও হল প্রশাসনের উদ্যোগে হল প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি ব্রিটিশ কাউন্সিল সংলগ্ন ফুলার রোড হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সলিমুল্লাহ মুসলিম হল মাঠে গিয়ে শেষ হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে র্যালিতে র্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ এবং হল প্রাধ্যক্ষ ড. আব্দুল্লাহ-আল-মামুনসহ হলের আবাসিক শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অ্যালামনাইরা অংশ নেন।
এ ছাড়া এদিন হলের আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি কর্মসূচির অংশ হিসেবে নবাব সলিমুল্লাহর জীবন ও কর্ম নিয়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সন্ধ্যায় পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং প্রীতিভোজ অনুষ্ঠিত হয়। এই আয়োজনে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক নাঈম। এই অভিনেতার আরেকটি পরিচয় হলো, তিনি ঢাকার নবাবদের বংশধর।
অনুষ্ঠানে চিত্রনায়ক নাঈম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সলিমুল্লাহ পরিবারের পক্ষ থেকে বেশকিছু দাবি তুলে ধরেন। যেগুলো ছিল মূলত সলিমুল্লাহর অবদান সম্বলিত। আর সেই দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন এই চিত্রনায়ক।
বিষয়টি জানিয়ে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ৭ জুন ছিল নবাব স্যার সলিমুল্লাহ বাহাদুরের জন্মদিন। সে উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে নবাব স্যার সলিমুল্লাহ ১৫৩তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
তিনি আরও লিখেছেন, নবাব সলিমুল্লাহর বংশধরের পক্ষ থেকে আমরা সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলাম এবং আমাদের পক্ষ থেকে নবাব সলিমুল্লাহ অবদানের জন্য দাবি পেশ করি, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীসহ সবারও দাবি ছিল এবং কর্তৃপক্ষ তা সানন্দে গ্রহণ করে।
সবশেষে এই চিত্রনায়ক লিখেছেন, হলের ছাত্রছাত্রী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা এত চমৎকার আয়োজনের জন্য।
প্রসঙ্গত, নবাব স্যার সলিমুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য জমি দান করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পক্ষে জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯২০ সালে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট পাশ হওয়ার ক্ষেত্রেও তিনি বিশেষ অবদান রাখেন।
পিএ/এসএন