খরগোশ আর কচ্ছপের দৌড় প্রতিযোগিতার গল্পটি শোনেনি এমন মানুষ খুঁজে পেতে সম্ভবত অনেক বেগ পেতে হবে।এসব গল্পের মাধ্যমে আমাদের অনেক ধরণের নীতিকথা শেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
কিন্তু অনেকেরই হয়ত জানা নেই এই গল্পগুলোর স্রষ্টা কে। এই নীতিকথামূলক গল্পগুলোর স্রষ্টা ছিলেন গ্রিক উপকথার জনক ঈশপ।
এই ঈশপকে নিয়ে রয়েছে অনেক রহস্য। রয়েছে নানা বিচিত্র গল্প কাহিনী। ঈশপের সত্যিকারের পরিচয় যেন ঢেকে রয়েছে রহস্যের পর্দার আড়ালে। অনেকের মতে ঈশপ নিছকই এক কাল্পনিক চরিত্র হলেও বহু মানুষ এর সঙ্গে একমত নন।
ধারণা করা হয় খ্রিষ্টপূর্ব ৬২০ থেকে ৫৬৪ পর্যন্ত ঈশপের জীবনকাল ছিল। গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটল এর মতে, ঈশপের জন্মস্থান ব্ল্যাক সি এর উপকূল ঘেঁসে থ্রেস নামক একটি স্থানে। কিন্তু রোমান সাম্রাজ্যের কিছু চিঠিপত্রে আবার তাঁর জন্মস্থান হিসেবে ফ্রিজিয়ার কথা বলা হয়।
ক্রীতদাস পরিবারে জন্ম নেয়া ঈশপ নিজেও ছিলেন একজন ক্রীতদাস। ঈশপের প্রথম মনিব ছিল জ্যান্থাস এবং দ্বিতীয় মনিব ছিল জ্যাডমন। দু’জন মনিবই ছিল সামোস এর বাসিন্দা।
ঈশপের চমৎকার যে গুণটি ছিল সেটি হচ্ছে- অসাধারণ ভঙ্গিমায় গল্প বলে মানুষকে মুগ্ধ করা। সহজ, সরল ভাষায় বলা তাঁর গল্পগুলোর মাঝে লুকিয়ে থাকতো অনেক মূল্যবান উপদেশ।
এই নীতিকথামূলক গল্পগুলো এখনও ছোটদের পড়ানো হয়, যাতে করে তারা সেগুলো থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।
ঈশপের মৃত্যুর পর তার গল্পগুলো ছড়িয়ে পড়ল দেশে-দেশান্তরে। দিন দিন গল্পগুলোর জনপ্রিয়তা বাড়তে লাগল।
তাঁর একটি উক্তি হলো-
“দয়া সে যত ক্ষুদ্রই হোক, বিফলে যায় না।”