ক্যারিয়ারের যখন পিক সময় যাচ্ছিল থিক তখনই অজয় দেবগণের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন কাজল। হঠাৎ করে নতুন একটা পরিবারে যাবার পর কী করা উচিত, সে বিষয়ে কোনো ধারণা ছিল না তাঁর। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে, কাজল তাঁর নতুন জীবনে পা রাখার পর যে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছিলেন সেই বিষয়ে মুখ খুলেছেন।
কাজল বলেন, ‘আসলে জানতাম না আমি সত্যিই কী করছি।
আমাদের বিয়ে যখন হয়েছিল তখন আমার বয়স ছিল মাত্র ২৪ বছর। আমি বয়সে ছোটই ছিলাম। আর আমার কী করা উচিত, কীভাবে করব, কাকে কী বলে ডাকা উচিত কোনও ধারণাই ছিল না আমার।’
শুধু কাজল নয়, অজয়ের মাকে নাকি ‘মা’ বলে সম্বোধন করার বিষয়টিও খানিক অদ্ভুত লেগেছে তাঁর।
খুব অবাক হয়ে কাজল প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আন্টিকে ‘মা’ বলতে হবে? কিন্তু কেন? আমার তো নিজের মা আছে।’
কাজলের মুখে এ কথা শুনেও যদিও একেবারেই শান্ত ছিলেন অভিনেতা। অজয় কখনও তাঁকে জোর করেননি কোনও ব্যাপারে। পুত্রবধূ হওয়ায় শাশুড়িকে ‘মা’ বলে ডাকতেই হবে, এমনটা নাকি মনেই করতেন না অজয়।
সময় হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে, এমনটাই ছিল অভিনেতার মত।
তবে শাশুড়ি ভীষণভাবে সাপোর্ট করেছিলেন কাজলকে। অভিনেত্রী জানান, তাঁর মেয়ে নাইসার জন্মের পর তাঁকে আবারও কাজ শুরু করতে প্রথম যিনি উৎসাহিত করেছিলেন, তিনি অজয়ের মা।
কাজলের ভাষ্যে, ‘নাইসার জন্মের পর তিনিই প্রথম ব্যক্তি, যিনি আমাকে বলেছিলেন যদি তুমি কাজ করতে চাও, তাহলে তোমাকে সন্তানকে নিয়ে ভাবতে হবে না। আমরা ওর দেখাশোনা করব।
এফপি/টিকে