প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের গণমাধ্যমে সাম্প্রতিক অপতথ্যের গতি-প্রকৃতি’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে প্রতিষ্ঠানটির সেমিনার কক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমের সিনিয়র সাংবাদিকরা এতে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। সেমিনারে গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন আইসিটি বিভাগের ইবিএলআইসিটি প্রকল্পের পরামর্শক ড. মামুন-উর-রশীদ। সভাপ্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ।
প্রধান অতিথি বলেন, আমাদের মিডিয়া হাউজগুলো মনে করে ফ্যাক্টচেক-এর পেছনে টাকা খরচ অতিরিক্ত, যেটা তারা চান না। আজকে বাংলাদেশের কোনো পত্রিকারই এই ইনভেস্টমেন্ট নেই। ফেইক ভিডিও, স্ক্রিপটেড ভিডিও সবকিছুই ছড়ায়, ছড়াবেও। কিন্তু আমাদের পত্রিকাগুলো এ ধরনের কাজগুলো রুখে দিতে চায় কি না, পেইড টুলসগুলো কিনে এগুলো রুখে দিতে পারে কি না তা দেখতে হবে।
ড. মামুন-উর-রশীদ তার গবেষণাপত্র উপস্থাপন করে বলেন, মিডিয়া হাউজ যদি আস্থা হারিয়ে ফেলে তাহলে সেটা পুরো সোসাইটির জন্য হুমকিস্বরূপ। ৫ আগস্টের পরে বিভিন্ন হাউজের সংবাদ প্রকাশের ডেটাসহ বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলের অপতথ্য ছড়ানোর হার নিয়ে নানা তথ্য শেয়ার করে তিনি বলেন, মেইনস্ট্রিম মিডিয়া আমাদের দেশে বেশ সরব। বাংলাদেশে মিস ইনফরমেশন শেয়ার করার একটি বড় মাধ্যম হলো ফটোকার্ড।
সেমিনারে ফারুক ওয়াসিফ বলেন, সাংবাদিকরা গত ১৫ বছর পেশাগতভাবে হুমকিতে ছিলেন। তারা রাজনৈতিকভাবে কোনো অবস্থান নিতে পারেন না। মূলধারার গণমাধ্যম এখন সত্য প্রকাশে দ্বিধান্বিত। মূলধারার গণমাধ্যমে কী ধরনের অপতথ্য ছড়ানো হয় এবং তা কীভাবে রুখে দেওয়া যায় সেটা নিয়ে কাজ হওয়া দরকার। অপতথ্যকে বা গুজবকে শুধুমাত্র ফ্যাক্টচেক দিয়ে রুখে দেওয়া সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।
আরআর