ভোররাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল পাকিস্তান

দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫। রোববার (২৯ জুন) ভোররাতে দেশটির মধ্যাঞ্চল ও বেলুচিস্তান প্রদেশে এই ভূকম্পন হয়।

অবশ্য এই ভূমিকম্পের জেরে কোনও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। রোববার পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।

জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস (জিএফজেড)-এর তথ্য অনুসারে, পাকিস্তানের মধ্যাঞ্চলে রোববার ভোরে একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। জার্মানির ভূ-তাত্ত্বিক এই গবেষণা কেন্দ্রটি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.৫।

অন্যদিকে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় ভোররাত ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। কেন্দ্রস্থল ছিল বেলুচিস্তানের বারখান শহরের প্রায় ৬০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে। ভূমিকম্পটি ছিল অপেক্ষাকৃত অগভীর। এটি মাত্র ভূপৃষ্ঠের মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে সংঘটিত হয়, যা এর কম্পনকে আরও বেশি তীব্র করে তোলে।

এদিকে ইউরো-মেডিটেরেনিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার জানিয়েছে, কেন্দ্রস্থল ছিল মুলতান শহর থেকে প্রায় ১৪৯ কিলোমিটার পশ্চিমে।

সংবাদমাধ্যম বলছে, মুসাখেল ও আশপাশের এলাকাতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। পাকিস্তানের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানায়, ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল মুসাখেল জেলার উত্তর-পূর্ব দিকে, মাটির ২৮ কিলোমিটার গভীরে।

তবে প্রাথমিকভাবে কোনও প্রাণহানি বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বলেও পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল বলছে, পাকিস্তান ভারতীয় ও ইউরেশীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ায় এই অঞ্চলে প্রায়ই ভূমিকম্প ঘটে থাকে। ২০০৫ সালে ৭.৬ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মিরে ৭৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয় এবং প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়।

২০১৫ সালে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে ৭.৫ মাত্রার এক ভূমিকম্পে প্রায় ৪০০ জনের মৃত্যু হয়। দুর্গম এলাকা হওয়ায় উদ্ধার কাজ সেসময় বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। এছাড়া ২০২১ সালের অক্টোবরেও বেলুচিস্তানের হরনাই জেলায় ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ২০ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছিলেন।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
হিরো আলমের ঘুমের ওষুধ খাওয়ার ঘটনা নিয়ে রিয়ামনির মন্তব্য Jun 29, 2025
সাকিবের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করা গর্বের বিষয়; নুরুল হাসান সোহান Jun 29, 2025
img
শাহরুখের ‘কিং’ নিয়ে গোপন তথ্য ফাঁস করলেন অমিতাভ Jun 29, 2025
img
জুলাই সনদে স্বাক্ষর নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর : আলী রীয়াজ Jun 29, 2025
img
‘আমার মাইগ্রেন আছে, আমার সাথে ভালো ব্যবহার করুন’ -জোভান Jun 29, 2025
img
ভোপালে ৯০ ডিগ্রি বাঁক নেয়া অদ্ভুত নকশার সেতু, সাত প্রকৌশলী বরখাস্ত Jun 29, 2025
img
আমাদের অনেক আগেই বিচ্ছেদ হওয়ার কথা ছিল : কাজল Jun 29, 2025
img
স্বাধীনতা দিবসের আগেই ‘ওয়ার ২’ দখল করলো আইম্যাক্স Jun 29, 2025
img
ক্ষমতায় এসে শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে : রিজভী Jun 29, 2025
img
প্রিয়াঙ্কার নামে ‘ভার্জিন স্ত্রী’ মন্তব্য ভাইরাল, অভিনেত্রীর কড়া প্রতিবাদ Jun 29, 2025
img
শেফালির অকালমৃত্যুতে শোকস্তব্ধ চিত্রাঙ্গদা Jun 29, 2025
img
সাইয়ারা কি হবে নতুন যুগের 'কহো না প্যায়ার হ্যায়'? Jun 29, 2025
img
ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য সুখবর, আবারও দেখা যাবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ! Jun 29, 2025
img
একের পর এক ছবিতে বাদ পড়ছেন শ্রীলীলা, সুযোগ নিচ্ছেন ভাগ্যশ্রী Jun 29, 2025
img
রাজশাহীতে ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল নববধূর Jun 29, 2025
img
নেটফ্লিক্সে আসছে ‘ব্রুকলিন’এর দেশি রূপ, জ্যাক পারাল্টা চরিত্রে কুনাল খেমু Jun 29, 2025
img
সৌদির লিগ এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা পাঁচের একটি: রোনালদো Jun 29, 2025
img
মাহিয়া মাহিকে নিয়ে মৃত্যুর গুজব, তদন্তে মিলল আসল তথ্য Jun 29, 2025
img
অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন কি সম্ভব? : সাইফুল হক Jun 29, 2025
img
ঐকমত্য কমিশনের দেয়া সব প্রস্তাব মানতে হবে, সেই ধারণা থেকে বের হতে হবে: সালাউদ্দিন Jun 29, 2025