শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুর ১২টার দিকে হিরো আলমকে অচেতন অবস্থায় ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন তার বন্ধু নাট্যকার জাহিদ হাসান সাগর।
ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মনিরুজ্জামান বলেন, ঘুমের ওষুধ সেবন করে হিরো আলম অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আসেন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেয়ার পর বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তিনি এখন শঙ্কামুক্ত।
এদিকে হিরো আলমের আত্মহত্যার চেষ্টার খবর শুনে বগুড়া ছুটে যান তার স্ত্রী রিয়া মনি।
এরপর রিয়া মনিকে হিরো আলমের সঙ্গে দেখা যায়। অসুস্থ হিরো আলমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে আসেন রিয়া মনি।
শনিবার (২৮ জুন) রিয়ামনি তার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে হিরো আলমের সবশেষ অবস্থার কথা জানান। এতে তিনি লেখেন,
‘আলহামদুলিল্লাহ আগের থেকে সুস্থ রয়েছেন হিরো আলম। জীবন যুদ্ধে যারা জয়ী হয়, তারাই হচ্ছে আসল যোদ্ধা। জীবনে চলার পথে অনেক কিছুর সম্মুখীন হতে হয়। অনেক কিছুর শিকার হতে হয়। বলার অনেক কিছু থাকে কিন্তু, বলা যায় না ‘
এর আগে, ২৭ জুন হিরো আলমের অসুস্থতার খবর মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এরপর রিয়া মনি এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বগুড়া এসে তার (হিরো আলম) সার্বিক বিষয় জেনেছি। এখন তাকে নিয়ে আমি ঢাকার দিকে রওনা দিয়েছি। সেখানে তাকে ভালো কোনো হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করাবো।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাত ৩টার দিকে হিরো আলম ধুনট উপজেলার যমুনা নদীর তীরে ভান্ডারবাড়ি গ্রামে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু জাহিদের বাড়িতে বেড়াতে যান।
রাতে রিয়া মনিকে কেন্দ্র করে দীর্ঘক্ষণ দুই বন্ধুর মধ্যে আলাপ হয়। এরপর তারা পৃথক বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েন। শুক্রবার ১১টার দিকে হিরো আলমকে ঘুম থেকে ডেকে না পেয়ে তার বন্ধু উদ্বিগ্ন হয়ে যান। এ সময় হিরো আলমের বালিশের পাশে ঘুমের ওষুধ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপরই তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, হিরো আলমের স্ত্রী রিয়া মনির সঙ্গে অনেকদিন ধরে সম্পর্কের টানাপড়েন যাচ্ছে। সম্প্রতি রিয়া মনির বিরুদ্ধে থানায় মামলাও করেছেন হিরো আলম। সেই মামলায় গ্রেফতারও করা হয় রিয়া মনিকে। তবে এর পরদিন জামিন পান রিয়া মনি।
পিএ/এসএন