যাদের দায়িত্ব শত্রুর ওপর নজরদারি করে জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তারা এখন নিজেদের সব শক্তি ও জনগণের অর্থ ব্যয় করছে দেশের নাগরিকদের ওপর নজরদারিতে ব্যস্ত বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
আজ সোমবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আসিফ মাহমুদ ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘গত কালকের ঘটনায় এটা বুঝতে পারলাম যে পিস্তল কেন, মিসাইল সঙ্গে রাখলেও আমি-আপনি কেউই নিরাপদ নই। যেভাবে মুহূর্তের মধ্যেই দেশের প্রধান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের সিসিটিভি ফুটেজ এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশে অবস্থানরত কারো হাতে পৌঁছে গেল, তা রীতিমতো ভয়ংকর।
এরা চাইলে যেকোনো দেশি বা বিদেশি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, গুপ্তহত্যাকারী কিংবা বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে আমাদের রিয়েল-টাইম লোকেশন, শিডিউল, সেনসিটিভ ইনফরমেশনসহ অর্থ কিংবা স্বার্থের বিনিময়ে যেকোনো কিছু পাচার করে দিতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি সরকারে আছি। আমার সঙ্গেই যদি এমন ঘটনা ঘটতে পারে তাহলে সাধারণ নাগরিকদের জন্য পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে, তা সহজেই বোঝা যায়। এই তথ্য সন্ত্রাসীদের শাস্তিই বা কী?’
যাদের দায়িত্ব শত্রুর ওপর নজরদারি করে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তারা এখন নিজেদের সব শক্তি ও জনগণের অর্থ ব্যয় করছে দেশের নাগরিকদের ওপর নজরদারিতে, টার্গেটেড চরিত্র হননে, যুক্ত করেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘লেজিট কিছু না পেয়ে উদ্ভট ও হাস্যকর বিষয় নিয়ে আক্রমণ করছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে গণ-অভ্যুত্থানের কিছু তথাকথিত অংশীজন এবং হাসিনাপুত্রের বক্তব্যে এখন আর কোনো পার্থক্য থাকছে না। তবে আশার কথা হলো, বাংলাদেশের জনগণ এখন পূর্বের যেকোনো সময়ের থেকে বেশি সচেতন। গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বের সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটলে, কারা ঘটিয়েছে তা কারোই বোঝার বাকি থাকার কথা নয়।’
গতকাল রবিবার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন পাওয়া গেছে দাবি করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়। যদিও পরে বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ।
কেএন/টিকে