থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করেছে দেশটির সাংবিধানিক আদালত। ক্যাম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে ফোনালাপের অভিযোগে ৩৬ জন সেনেটরের আবেদনের পর আদালত এই সিদ্ধান্ত দেয়। ১৫ দিনের মধ্যে তাকে লিখিত জবাব দেয়ার পাশাপাশি চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত বরখাস্তের আদেশ বহাল থাকবে বলে জানায় দেশটির আদালত।
এর আগে ১৮ জুন হুন সেনের সঙ্গে পেতংতার্নের একটি ফোনালাপের অডিও ক্লিপ গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে অভিযোগ ওঠে পররাষ্ট্র বিষয়ে ব্যক্তিগতভাবে আলোচনার। সংবাদ সম্মেলনে পেতংতার্ন স্বীকার করেন, কণ্ঠ তার এবং হুন সেনেরই। তবে এটিকে তিনি ‘সফট কূটনীতি’ হিসেবে ব্যাখ্যা করে বলেন, শান্তি ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্যই তিনি এমন করেছেন।
এদিকে আবেদনকারীদের দাবি, তার এই পদক্ষেপে বিদেশনীতি সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনে স্বচ্ছতা ছিল না। বরং তিনি ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে ক্যাম্বোডিয়ার প্রতি অতিরিক্ত নমনীয় ছিলেন। এমনকি থাই সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের প্রতিপক্ষ মনে করে আচরণ করেছেন বলেও অভিযোগ উঠে। এসব কারণেই তাকে ‘নৈতিক ব্যর্থতা’ ও ‘দায়িত্বে গাফিলতি’র অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।
আদালতের ভাষ্য অনুযায়ী, পেতংতার্নের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো তদন্তযোগ্য এবং তা যথেষ্ট গুরুতর। ফলে তদন্ত চলাকালীন তাকে দায়িত্ব পালনে রাখতে পারবে না সরকার। থাই রাজনীতিতে সিনাওয়াত্রা পরিবারের এই সদস্যের বরখাস্ত ভবিষ্যতে দেশটির ক্ষমতার ভারসাম্যে বড় পরিবর্তন আনতে পারে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
টিকে/