মোহিত সুরির পরবর্তী প্রেমকাহিনি ‘সইয়ারা’ একপ্রকার অপেক্ষার চূড়ান্তে পৌঁছে গেছে। আর তারই মাঝে মুক্তি পেল বছরের অন্যতম প্রতীক্ষিত গান—‘Dhun’। আরিজিত সিংহের কোমল কণ্ঠে, মিঠুনের সুরে ও মোহিত সুরির সিগনেচার আবেগের মোড়কে এই গান যেন প্রেম ও যন্ত্রণার এক অনুপম প্রতিচ্ছবি।
‘তুম হি হো’-র সেই ম্যাজিক টিম এক দশক পরে আবার একত্র—আর তাদের প্রত্যাবর্তনেই যেন প্রেমিকার চোখের জল আর প্রেমিকের একলা সন্ধে ফিরে এল গানের সুরে। ‘Dhun’ শুরুর মুহূর্তেই বলে দেয়, এটি কেবল গান নয়, এক আত্মিক অনুরণন।
ভিডিওর দৃশ্যপটে আনীত পদ্দা ও আহান পান্ডের অনস্ক্রিন রসায়ন দর্শককে এক মুহূর্তের জন্যও চোখ সরাতে দেয় না। বৃষ্টিভেজা শহরের অলিতে-গলিতে ঘুরে বেড়ানো, স্মৃতিমাখা ফ্ল্যাশব্যাক আর আহানের আবেগঘন পারফর্ম্যান্সে যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে হারানো ভালোবাসা। মোহিত সুরির ভিজ্যুয়াল ভাষা বরাবরের মতোই কবিতার মতো—যেখানে প্রতিটি দৃশ্য একেকটি অনুভূতির উপাখ্যান।
গানের প্রতিটি লাইনে ফুটে ওঠে যন্ত্রণা ও নিরব প্রেমের টানাপড়েন। “Love hurts, music heals”—এই এক লাইনে গানটি যেন সারমর্মে আত্মা স্পর্শ করে।
‘সইয়ারা’র আগে থেকেই সংগীতজগতের মন জয় করেছে একের পর এক হিট সাউন্ডট্র্যাক—‘বারবাদ’, ‘তুম হো তো’, ‘হমসফর’। আর এই তালিকায় ‘ধুন’ এসে যেন প্রেমের রাজত্বে শিরোপা কেড়ে নিয়েছে।
ছবির মুক্তি ১৮ জুলাই, ২০২৫। কিন্তু তার আগেই স্পষ্ট—‘সইয়ারা’ শুধুই এক সিনেমা নয়, এটি এক আবেগময় সংগীতযাত্রা। যেখানে প্রেম মানে শুধুই হাসি নয়, বরং কান্না, স্মৃতি আর না বলা কথার মেলবন্ধন।
আরিজিতের সুরে যে ব্যথা বাজে, মিঠুন তার জন্য নির্মাণ করেন সুরের শোকগাথা, আর মোহিত সুরি তাতে দেন এক কবির জীবন। তাই ‘ধুন’ এখন শুধু গান নয়, ভালোবাসার গল্পের সবচেয়ে সত্যিকার অনুচ্চারিত অধ্যায়।
এসএন