বলিউড অভিনেত্রী কারিশমা কাপুরের প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয় কাপুরের মৃত্যু হয়েছে গত মাসেই। সঞ্জয় ছিলেন ভারতের অন্যতম ধনকুবের। অটোমোটিভ টেকনোলজি কম্পানি সোনা বিএলডব্লিউ প্রিসিশন ফোর্জিংস লিমিটেড সোনা কমস্টার-এর চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। ইংল্যান্ডে একটি পোলো ম্যাচ চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার আকস্মিক মৃত্যু ঘটে।
সঞ্জয়ের প্রয়াণে কর্পোরেট মহলে এবং অটোমোটিভ ইন্ডাস্ট্রিতে গভীর শোকের ছায়া ফেলেছে। শোকের ছায়া পড়ে বলিউড প্রাঙ্গনেও।
সঞ্জয়ের মৃত্যুর প্রায় একমাসের মধ্যেই তার সুবিশাল ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যে তার জায়গা নিলেন জেফ্রি মার্ক ওভারলি। এক্সচেঞ্জ ফাইলিংয়ের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে জেফ্রির নাম।
সঞ্জয়ের স্থানে এখন থেকে সোনা কমস্টার-এর নতুন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলাবেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুসারে, জেফ্রি ২০২১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে কম্পানিটির স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে যুক্ত রয়েছেন। চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল, তাকে আরও পাঁচ বছরের জন্য পুনর্নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড, যা কার্যকর হবে ২০৩১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত—শেয়ার হোল্ডারদের অনুমোদনের সাপেক্ষে। দীর্ঘদিন ধরে জেফ্রি মার্ক ওভারলি যুক্তরাষ্ট্র থেকে কাজ করলেও, সময়ের সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে কোম্পানির বোর্ড ও কমিটির সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে যোগ দিয়েছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন।
তাই সংস্থার জন্য তার এই নেতৃত্বে আসা এক অর্থে প্রস্তুতপর্বের ফল বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তবে ৩০,০০০ কোটি টাকার এ কম্পানির বোর্ডে এসেছেন সঞ্জয়ের তৃতীয় স্ত্রী প্রিয়া সচদেব কাপুরও। সঞ্জয় কাপুরের স্ত্রী প্রিয়া সচদেব কাপুরকেও অ্যাডিশনাল নন-এক্সিকি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একসময় ক্রেডিট সুইস ফার্স্ট বোস্টন-এ অ্যানালিস্ট হিসেবে লন্ডনে কাজ শুরু করেছিলেন প্রিয়া। পরে ভারতে ফিরে অটোমোটিভ রিটেল, ইনশিওরেন্স এবং হাই-ফ্যাশন ব্যবসার নেতৃত্ব দেন।
বোর্ডে তার অন্তর্ভুক্তি সংস্থার স্ট্র্যাটেজিক মেকওভার-এর ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন অনেকে।
ব্যক্তিগত জীবনে সঞ্জয় কাপুর ছিলেন বলিউড অভিনেত্রী কারিশমা কাপুরের প্রাক্তন স্বামী। তাদের দুই সন্তান রয়েছে। ২০১৬ সালে আইনি পথে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে সে সময়ই কারিশমা ও তার দুই সন্তানকে নগদ অর্থ ও সম্পত্তি লিখে দেন সঞ্জয়। ওই সময় সঞ্জয় কাপুর তার বাবার বাড়িটি খোরপোশ বাবদ করিশমাকে লিখে দেন। আর ছেলে মেয়েদের বড় হয়ে উঠতে কোনো সমস্যা না হওয়ার জন্য ১৪ কোটি টাকর একটি বন্ড কিনেন। তা থেকে প্রতি মাসে সুদ বাবদ আসে ১০ লাখ টাকা। সন্তানের ভরণপোষণের জন্য সে অর্থ প্রতি মাসে পান কারিশমা। কারিশমার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সঞ্জয় বিয়ে করেন প্রিয়া সচদেবকে, যার সঙ্গে দাম্পত্য জীবনে তার এক পুত্রসন্তান রয়েছে। তাই সঞ্জয়ের প্রয়াণের পর গুরুত্বপূর্ণ পদে আসিন হলে প্রিয়া সচদেব।
কেএন/টিএ