বছরের সবচেয়ে বড় হারানো সুযোগগুলোর একটি হয়ে রইল এটি। শোনা যাচ্ছে, দক্ষিণের জনপ্রিয় অভিনেতা বিজয় দেবরাকোন্ডা প্রথমে শেখর কাম্মুলার ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘কুবেরা’র মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। আজ সেই চরিত্রে ধানুশ ঝড় তুলেছেন, আর ছবিটি বিশ্বজুড়ে একশ বিশ কোটিরও বেশি টাকা আয় করে ফেলেছে।
‘দেবা’ নামের এক ভিখারির জটিল, গভীর আর রহস্যময় চরিত্রটি প্রথমে প্রস্তাব করা হয়েছিল বিজয়কে। কিন্তু ‘ডিয়ার কমরেড’ খ্যাত বিজয় তখন দ্বিধায় ছিলেন। তার বাণিজ্যিক ইমেজ আর বিপুল ভক্তসমাজ এমন একটি সাধারণ, অনাড়ম্বর চরিত্র মেনে নেবে কি না, সেই আশঙ্কাই তাকে পিছু হটিয়েছিল। একের পর এক ছবির ব্যর্থতার পর নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে উদ্বিগ্ন বিজয় শেষ পর্যন্ত সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।
অথচ পরিচালক শেখর কাম্মুলা বিজয়কেই ভেবেছিলেন। ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’-এ একসঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা থেকে পরিচালক জানতেন, বিজয়ের মধ্যে রয়েছে একধরনের গণমুখী আবেদন আর গভীর আবেগের বিস্তৃতি, যা এই চরিত্রকে অন্য মাত্রা দিত। বিজয়ের ফ্যানবেসও চরিত্রটিকে আলাদা গুরুত্ব দিত বলে মনে করেছিলেন তিনি।
কিন্তু বিজয়ের পিছু হটার পর সেই সুযোগ চলে যায় ধানুশের হাতে। আর বাকিটা ইতিহাস। ধানুশ এই চরিত্রে অভিনয় করে ভক্ত-সমালোচক সকলের মন জয় করেছেন। তার অভিনয়ের রুক্ষতা, নিবিড়তা আর শারীরিক রূপান্তর নিয়ে প্রশংসার বন্যা বয়ে যাচ্ছে। ‘কুবেরা’ এখন বছরের সবচেয়ে বড় প্যান-ভারতীয় হিটের একটি। বক্স অফিসে সাফল্য যেমন এসেছে, তেমনি সমালোচকরাও প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
অনেকে বলছেন, বিজয় হয়তো ভেবেছিলেন চরিত্রটি তার তারকাখ্যাতিতে আঘাত হানবে। কিন্তু বাস্তবে তিনি হারিয়েছেন একটি জীবন পরিবর্তনকারী সুযোগ। অন্যদিকে ধানুশ আবারও প্রমাণ করেছেন, ঝুঁকি নিলে তবেই সাফল্য ধরা দেয়। ‘কুবেরা’ দেখিয়ে দিল— ইমেজ নয়, শেষ পর্যন্ত গল্প আর অভিনয়ের সাহসই আসল কথা বলে।
এফপি/ টিএ