সিনেমার নাম ‘দম’। অর্থ শুধু নিঃশ্বাস নয়, বরং এক সাধারণ মানুষের ভেতর লুকিয়ে থাকা বিস্ফোরণের মতো শক্তির নাম ‘দম’। এই সিনেমার মাধ্যমেই প্রথমবার একসঙ্গে পর্দা ভাগ করে নিচ্ছেন দুই তারকা—আফরান নিশো ও চঞ্চল চৌধুরী। পরিচালনায় রয়েছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা রেদওয়ান রনি। মুক্তির সময়ও চমকপ্রদ—২০২৬ সালের ঈদুল ফিতর। তবে এই সিনেমা মুক্তির আগেই সিনেমাপ্রেমীদের মনে জমে উঠেছে উত্তেজনার মেঘ।
রেদওয়ান রনির মতে, ‘দম’ শুধুই একটি গল্প নয়, বরং এটি এক জীবনদায়ী অনুপ্রেরণা। বহুদিন ধরে এমন গল্পের খোঁজে ছিলেন তিনি। অবশেষে এমন একটি চরিত্র পেয়েছেন, যা নিছক রূপালি পর্দার জন্য নয়—বরং দর্শকদের অন্তর্গত শক্তিকে নাড়া দেওয়ার মতো।
আফরান নিশো এর আগেও নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে তাক লাগিয়েছেন। তবে ‘দম’-এ তাঁর চরিত্র যেন একধাপ ওপরে। এই সিনেমাকে তিনি বলছেন ‘সারভাইভাল ইনস্পিরেশনাল থ্রিলার’। এমন গল্প ও চরিত্র এর আগে বাংলাদেশি সিনেমায় দেখেননি বলেই জানান তিনি। তাঁর মতে, অভিনয়ের চ্যালেঞ্জটাই তাঁকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করেছে।
চঞ্চল চৌধুরী বরাবরই ব্যতিক্রমী। এবারো তিনি ব্যতিক্রমী এক রূপে আসছেন। তাঁর ভাষ্য, “রেদওয়ান রনির পরিচালনায় আবারও কাজ করতে পারা দারুণ এক অনুভূতি। ‘দম’-এর গল্প ও চরিত্র একেবারেই আলাদা। এতে আমি এমন এক জায়গায় কাজ করছি, যা আমার আগের কোনও সিনেমার সঙ্গে মেলে না।”
এই বিশেষ প্রজেক্টের পেছনে রয়েছে শক্তিশালী প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসভিএফ আলফা-আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড ও চরকি। এসভিএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার শাকিল জানিয়েছেন, নিশোকে নিয়ে এটি তাদের বড় বাজেটের আয়োজন। ‘সুড়ঙ্গ’, ‘তুফান’, ‘তাণ্ডব’-এর সাফল্যের পর ‘দম’ হবে সেই ধারার উপযুক্ত উত্তর।
সিনেমাটি বাস্তব ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত। নির্মাতার ভাষায়, চরিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে একাধিক স্তর ও বাঁক। সিনেমার নারী চরিত্র এখনো ঘোষণা করা হয়নি, তবে নির্মাতারা জানাচ্ছেন, খুব শিগগিরই তা চূড়ান্ত হবে। ইতিমধ্যেই চলছে লোকেশন স্কাউট, এবং শিগগিরই শুরু হবে মূল শুটিং।
এই প্রথমবার দেশের দুই জনপ্রিয় অভিনেতা একই সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করছেন। তাও আবার এমন একজন নির্মাতার হাত ধরে, যিনি তার গল্প বেছে নেন দায়িত্ব ও সময়কে মাথায় রেখে। ফলে, ‘দম’ কেবল আরেকটি ছবি নয়—এটি হয়ে উঠতে চলেছে বাংলা সিনেমার নতুন সময়ের এক প্রতীক।
এসএন