বলিউডের ‘গ্রীক গড’ বলে যাঁকে ডাকা হয়, সেই হৃতিক রোশন নিজের চোখেই এবার নতুন আলো দেখাচ্ছেন সমাজকে। অভিনয়, দেহসৌষ্ঠব আর পেশাদারিত্বে বহুদিন আগেই নিজের অবস্থান পাকা করে ফেলেছেন তিনি। তবে এবার আলোচনায় তাঁর অন্তরের সৌন্দর্য। জানা গেছে, বহু আগেই মৃত্যুর পর চক্ষুদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হৃতিক। নিজের ৪৩তম জন্মদিনে চক্ষুদানের জন্য আনুষ্ঠানিক নিবন্ধনও করেন তিনি।
এক সময় তাঁর ঈষৎ কটা চোখে মুগ্ধ হয়েছিলেন অগণিত দর্শক, প্রেমে পড়েছিলেন মেক্সিকান অভিনেত্রী বারবারা মোরে। আর সেই চোখই এবার কারও জীবনে আলো এনে দিতে চলেছে, এমন ভাবনাই অনুপ্রাণিত করছে অনুরাগীদের।
এই সিদ্ধান্ত একেবারে ব্যক্তিগতভাবে নিলেও, পরে হৃতিক নিজেই তা সকলের সামনে আনেন এবং সমাজকে চক্ষুদানে উৎসাহ দেন। সম্ভবত ‘কাবিল’ ছবিতে এক দৃষ্টিহীন চরিত্রে অভিনয় করার সময় চক্ষুদান সম্পর্কে হৃতিকের উপলব্ধি আরও গভীর হয়।
অভিনয়ের ২৫ বছর পূর্ণ করে এবার তিনি নতুন অধ্যায়ে পা রাখছেন—পরিচালক হিসেবে। নিজেই পরিচালনায় আসছেন ‘কৃশ ৪’ ছবিতে। সঙ্গে থাকছেন বাবা রাকেশ রোশন ও যশরাজ ফিল্মস। সম্প্রতি রাকেশ রোশন একটি আবেগঘন ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘‘ডুগ্গু, ২৫ বছর আগে তোমাকে অভিনেতা হিসেবে উপস্থাপন করেছিলাম। এবার তোমাকে পরিচালক হিসেবে উপস্থাপন করছি।’’
এ বছরেই হৃতিকের বহুল প্রতীক্ষিত অ্যাকশনধর্মী ছবি ‘ওয়ার ২’ মুক্তি পেতে চলেছে। সেই সঙ্গে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় রূপান্তর—পরিচালনার অভিষেক।
সব মিলিয়ে হৃতিক রোশন যেন শুধু পর্দার নায়ক নন, সমাজের কাছেও এক অনুপ্রেরণার নাম। নিজ চোখের আলো বিলিয়ে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন, তা যেন আসল সুপারহিরোর কাজই।
এসএন