টলিউডের পরিচিত মুখ, নিজেকে স্বঘোষিত আউটসাইডার হিসেবে দাবি করা বিজয় দেবেরাকোন্ডা আবারও মুখ খুললেন নেপোটিজম নিয়ে। ‘দ্য হলিউড রিপোর্টার’-এর সঙ্গে অনুপমা চোপরাকে দেওয়া সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে তিনি তুলে ধরলেন নিজের লড়াইয়ের গল্প—যেখানে স্টার কিডদের সুবিধার বিপরীতে তার কঠিন বাস্তবতার কথা শোনালেন।
বিজয় অকপট স্বীকার করেছেন, ক্যারিয়ারের শুরুর দিনগুলোতে তার কোনও স্ক্রিপ্ট না বলার সুযোগই ছিল না। “একটা স্ক্রিপ্ট ভালো না হলেও আমি কিছু বলতে পারতাম না। আমার না বলার বিলাসিতা ছিল না, সময় নেওয়ারও নয়।” এই স্বীকারোক্তি তার শুরুর দিনের অনিশ্চয়তা আর ভয়কে স্পষ্ট করে তোলে।
তিনি সরাসরি কারও নাম নেননি, তবে স্পষ্ট করে বলেন—“আমি এমন একজন অভিনেতাকে চিনি যার বাবা প্রভাবশালী। সে বলতে পারে ‘এই স্ক্রিপ্টটা ঠিক নয়’ আর লেখকদের দিয়ে সেটা ঠিকও করিয়ে নেয়।” এই কথায় ফুটে ওঠে ইন্ডাস্ট্রির ভেতরের সূক্ষ্ম বৈষম্য, যেখানে আউটসাইডারদের কোনও নিরাপদ ব্যাকআপ থাকে না।
বিজয়ের ভাষায়, “যা আসছে, সেটাই নিতে হতো।” পেছনে কেউ না থাকায় সবসময় তাকে ভাবতে হতো—পরের সুযোগ কবে আসবে, আদ überhaupt আসবে কি না। পেল্লি চুপুলু থেকে অর্জুন রেড্ডি—প্রতিটি ছবিই ছিল ঝুঁকি, নিশ্চিততা নয়। সেই ভয়, অনিশ্চয়তা আর বাধ্যতামূলক গ্রহণের গল্পটাই তার লড়াইয়ের আসল রূপ।
তবে আজ পরিস্থিতি বদলেছে। বিজয় বললেন, এখন তিনি এমন জায়গায় পৌঁছেছেন যেখানে কোনও কিছু পছন্দ না হলে সরাসরি পরিচালককে বলে দিতে পারেন—সম্মান বজায় রেখে, কিন্তু স্পষ্টভাবে। এটা তার দীর্ঘ লড়াইয়েরই ফসল।
ভবিষ্যতের দিকেও বিজয় নজর দিয়েছেন। ৩১ জুলাই মুক্তি পাচ্ছে তার নতুন ছবি ‘কিংডম’। পাশাপাশি রয়েছে দুটি বড় বাজেটের প্রজেক্ট, যেগুলোর নাম এখনও ঘোষণা হয়নি। এবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তার নিজের হাতে—এটি সম্পূর্ণ তার অর্জন।
বিজয় দেবেরাকোন্ডার যাত্রা শুধুই সিনেমায় জায়গা পাওয়ার গল্প নয়—এটা এক অসম যুদ্ধের রূপকথা। নেপোটিজম নিয়ে তার স্পষ্ট বক্তব্য কেবল ইন্ডাস্ট্রির আভ্যন্তরীণ বাস্তবতাই নয়, বরং প্রতিটি সেই স্বপ্ন দেখার সাহসী মানুষের মনের কথাও, যারা কোনও পরিচিতির সুবিধা ছাড়াই নিজের জায়গা তৈরি করতে চায়।
এফপি/ এস এন