পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে নতুন যাত্রা শুরুর আশ্বাস দিয়েছিলেন লিটন দাস। অথচ সালমান আলী আঘার দলের বিপক্ষে পুরো সিরিজে ব্যাটে-বলে নূন্যতম লড়াইও করতে পারেননি বাংলাদেশ। কদিন আগেই তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করলেও বাংলাদেশকে সহজভাবে নিচ্ছেন না মাইক হেসন। পাকিস্তানের সাদা বলের ক্রিকেট প্রধান কোচ জানান, বাংলাদেশ দেশের বাইরের চেয়ে দেশের মাটিতে বেশি ভালো দল।
সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিকেটের কোন সংস্করণেই বাংলাদেশের সময়টা একেবারে ভালো যাচ্ছে না। চলতি বছরের শুরুতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে একটি ম্যাচও জিততে না পারা বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও। টেস্টে গলে ড্র করলেও কলম্বোতে গিয়ে পেরে উঠতে পারেনি টাইগাররা। টি-টোয়েন্টিতে লিটনদের অবস্থা আরও বাজে। গত বছরের ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জেতার পর থেকেই দিশা খুঁজে পাচ্ছে না বাংলাদেশ।
পাকিস্তানে সিরিজ খেলতে যাওয়ার আগে প্রস্তুতি হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে খেলেন লিটনরা। প্রথম ম্যাচ জিতলেও পরের দুই ম্যাচ হেরে খোয়াতে হয় বাংলাদেশকে। পরের সিরিজে পাকিস্তানের সঙ্গে পাত্তাই পায়নি। পাকিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর ফিল সিমন্স বলেছিলেন, ‘অবশ্যই দ্রুত উন্নতি করতে চাইব আমরা। আমাদের উন্নতি করতেই হবে।’
তবে বাংলাদেশের প্রধান কোচের কথার প্রতিফলন ঘটেনি খেলার মাঠে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হওয়া প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও তেমন কিছুই করে দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ। লঙ্কা সিরিজ শেষেই দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবেন লিটনরা। বাংলাদেশ সফরে আসরে আসার আগে প্রস্তুতির ঘাটতি রাখছে না পাকিস্তান। মিরপুরের স্লো এবং টার্নিং উইকেটের কথা মাথায় রেখে একই ধরনের উইকেটে প্রস্তুত হচ্ছেন ব্যাটাররা। বাংলাদেশের কাছে দারুণ চ্যালেঞ্জ প্রত্যাশা করছেন পাকিস্তান কোচ।
এ প্রসঙ্গে হেসন বলেন, ‘মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলাটা খুবই চ্যালেঞ্জিং। কারণ ওইখানে আদ্রতা একটু বেশি। বল যাতে টার্ন করে এমন পিচেই আমরা অনুশীলন করছি। মন্থর এবং টার্নিং উইকেটে আমাদের ব্যাটারদের জন্য কাজটা চ্যালেঞ্জিং হবে। বাংলাদেশ দেশের বাইরের চেয়ে দেশের ভেতরে অনেক ভালো দল। আমরা দারুণ একটা চ্যালেঞ্জেরই প্রত্যাশা করছি।’
সবশেষ সিরিজে বাবর আজম, শাহীন শাহ আফ্রিদি এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানের মতো ক্রিকেটারদের ছাড়াই খেলেছে পাকিস্তান। বাংলাদেশ সফরেও তাদের কাউকেই আনছে তারা।
পাশাপাশি চোটের কারণে বাংলাদেশ সফরে খেলা হচ্ছে না হারিস রউফ ও শাদাব খানের। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে হেসন জানান, কিছু জায়গায় উন্নতি করতে পারলেই বাবর ও শাহীনকে দলে দেয়া নেয়া।
আরআর/টিকে