বয়কটের ফাঁড়া কাটিয়ে সবে ‘বর্ডার ২’ সিনেমার শুটিং শুরু করেছেন দিলজিৎ দোসাঞ্ঝ। তবে ‘সর্দারজি ৩’ বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না পাঞ্জাবি পপস্টারের। পাকস্তানি শিল্পীদের সঙ্গে অভিনয় করায় ফিল্মি দুনিয়ায় রীতিমতো কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন অভিনেতা। বলিউডের ফিল্ম সংগঠনগুলি গতমাসেই চোখ রাঙিয়েছে দিলজিতের বিরুদ্ধে। এমতাবস্থায় বিতর্কের আগেভাগে সই করা সিনেমাগুলো যাতে শেষমুহূর্তে বিশ বাঁও জলে না পড়ে, সেই প্রেক্ষিতেই প্রযোজকরা বাধ্য হয়ে দিলজিৎকে বয়কট না করার আর্জি জানিয়েছেন। তবে পরবর্তী ছবির শুটিংয়ের ঝলক দেখিয়ে গায়ক-অভিনেতা যতই পালটা জবাব দিন না কেন, বিতর্ক কিন্তু থামার নাম নেই! এবার কঙ্গনা রানাউত প্রশ্ন তুললেন দিলজিৎ দোসাঞ্ঝের ‘দেশপ্রেমের অ্যাজেন্ডা’ নিয়ে।

আসলে ‘সর্দারজি ৩’ ছবিতে হানিয়া আমির, নাসির চিন্যোতি, ড্যানিয়েল খাওয়ার এবং সেলিম আলবেলার মতো একাধিক পাক মুলুকের তারকা রয়েছেন। এদিকে পহেলগাঁও সন্ত্রাসের পর পাকশিল্পীদের রেয়াত করতে নারাজ গোটা দেশ। বলিউডও তখন সুর চড়িয়েছিল। কিন্তু দিন কয়েক যেতে না যেতেই দিলজিৎ তাঁর ‘সর্দারজি ৩’ ছবির ঝলক দেখিয়ে বিতর্কে পড়েন। এবার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করে দিলজিৎকে বিঁধলেন সাংসদ-অভিনেত্রী। কঙ্গনার মন্তব্য, “দেশ গড়ার কাজে তো আমরা সবাই অংশীদার। একজন সৈনিক, একজন রাজনীতিবিদ, একজন তারকা, প্রত্যেকেরই দেশপ্রেম জাহির করার আলাদা পন্থা থাকতে পারে। কিন্তু লক্ষ্য একটাই হওয়া উচিত। সেটা হল- দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আর এটা তো শুধু সেনার দায়িত্ব নয়!”
এরপরই সাংসদ-নায়িকার সংযোজন, “দেখুন, কেউ দেশপ্রেমের জন্য সৈনিক হওয়ার পথ বেছে নিচ্ছেন, কেউ রাজনীতির ময়দানে থেকে সেই পন্থা অবলম্বন করছেন। আবার অনেকে রয়েছেন, যাদের হয়তো নিজের কোনও আলাদাই অ্যাজেন্ডা আছে। আমি বলছি না এটা থাকা অস্বাভাবিক। কিন্তু দেশের মানমর্যাদা রক্ষার্থে সকলের অনুভূতি এক হবে না কেন? কেন দিলজিৎ নিজস্ব পথ বেছে নেবেন এক্ষেত্রে? কেন দেশের ক্রিকেটাররা আলাদা পন্থা অনুসরণ করবেন? দেশপ্রেমের অনুভূতি আমাদের সকলের এক হওয়া উচিত। এবং সেটা সম্ভব হবে, যদি সব রাজনীতিকদের মধ্যে এই ভাবনাটা ঢোকানো যায়।” আসলে সাংসদ-অভিনেত্রীর আপত্তি, তাঁর নিজের দল বিজেপিই এই চলতি বিতর্কে দিলজিৎ দোসাঞ্ঝের পাশে রয়েছে। সম্প্রতি, ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় মুখপাত্র আরপি সিং এক্স হ্যান্ডেলে অভিনেতার প্রশংসা করে লিখেছিলেন, “দিলজিৎ দোসাঞ্ঝ শুধুমাত্র একজন খ্যাতনামা শিল্পী নন। বরং একজন জাতীয় সম্পদ এবং বিশ্বমঞ্চে ভারতীয় সংস্কৃতির দূত।” শুধু তাই নয়, পাঞ্জাব বিজেপিরক তরফেও সাংবাদিক বৈঠক ডেকে দিলজিতের পাশে থাকার কথা জানানো হয়। সেই প্রেক্ষিতেই হয়তো রাজনীতিবিদদের কথা উল্লেখ করেছেন কঙ্গনা রানাউত।
এমকে/এসএন