সংস্কার, বিচার, জুলাই ঘোষণা পত্র ও নির্বাচন- সব একসঙ্গে চায় এনসিপি। এটা একটি প্যাকেজ। আর এটা প্যাকেজ হিসেবেই দেয়ার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
শুক্রবার (১১ জুলাই) যশোর শহরের হোটেল ওরিয়নে জুলাই আন্দোলনের আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘একটি মহল চায় জুলাই ঘোষণাপত্র পিছিয়ে দিয়ে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে। কিন্তু আমরা তা হতে দেব না।’
বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ দেড় বছর ধরে যারা রাজপথে নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, তাদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা যাবে না।
খেলতে হলে মাঠে খেলুন। ক্যান্টনমেন্ট বা বিদেশে বসে খেলা চলবে না। রেফারি, কোচ বা দর্শক সেজে কেউ খেললে তা দেশের মানুষ মেনে নেবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এনসিপিপন্থি বা বিএনপিপন্থি নির্বাচন কমিশন চাই না। আমরা চাই বাংলাদেশি পন্থী নির্বাচন কমিশন।’
সভায় এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘আহতদের চিকিৎসা সহায়তায় একটি মেডিকেল সেল গঠন করা হবে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগপন্থি মেম্বার-চেয়ারম্যানদের সরিয়ে জুলাই আহতদের স্থানীয় নেতৃত্বে বসানো হবে।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুসরাত তাবাসসুম ও ডা. তাসনিম জারা।
এ সময় জুলাই আন্দোলনের আহতরা অভিযোগ করে বলেন, এক বছর পার হয়ে গেলেও এখনো ঘোষণা পত্র, স্বীকৃতি সনদ, পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের কোনোটিই নিশ্চিত হয়নি।
তারা বলেন, নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখিয়ে নেতারা এখন দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছেন।
আহতরা দাবি করেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগেই “জুলাই সনদ” ঘোষণা ও বাস্তবায়ন করতে হবে, নইলে ভবিষ্যৎ কর্মসূচিতে তারা কঠোর অবস্থান নেবেন।
এমআর/টিকে