দুবাইয়ের বাজারে স্বর্ণের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। ২২ ক্যারেট স্বর্ণের প্রতি গ্রাম এখন ৩৬৯.৫ দিরহাম। দাম কিছুটা কমার আশা থাকলেও বাস্তবে ঘটছে উল্টোটা। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো এই মূল্যবৃদ্ধিও থামাতে পারছে না বাজেট-সংযত ক্রেতাদের। খবর গালফ নিউজের।
দাম যতই বাড়ুক, তিন হাজার দিরহামের মধ্যে থাকা সাধারণ চেইন ও বালা কিনতে দোকানে এখনো আসছেন বহু ক্রেতা। বিনিয়োগ ও প্রয়োজনে এই সাধারণ গয়নাই এখন ভরসা হয়ে উঠেছে মধ্যবিত্তের জন্য। বিশেষ করে ১৫ থেকে ২০ গ্রাম ওজনের সাধারণ চেইন ও বালা এখনো বিক্রি হচ্ছে বেশ ভালোই।
দুবাই গোল্ড সুকে গিয়ে দেখা গেছে, তিন হাজার দিরহামের নিচে মূল্যের গয়নার চাহিদা এখনো টিকে আছে। এভারমোর-এর সিইও রোহান সিরোয়া বলেন, ‘স্বর্ণের দাম অনেক বেশি, মৌসুমও শেষ, তাই গোল্ড সুকের ভিড় কিছুটা কমেছে। তবে তিন হাজার দিরহামের কম দামের সাধারণ গয়না এখনো বিক্রি হচ্ছে।’
এইসব গয়নায় তেমন কোনো ডিজাইন না থাকায় মেকিং চার্জও কম। ফলে ক্রেতারা মূলত বিনিয়োগ হিসেবেই ১৫-২০ গ্রাম স্বর্ণ কিনে নিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে দুবাইতে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ৩৬৯.৫ দিরহাম, যা আবারও ৩৭০ দিরহামে পৌঁছাতে পারে। গত জুন মাসের শেষ সপ্তাহে এ দাম ছিল ৩৬৫ দিরহাম, যা বিগত এক মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। অনেকেই এখনো আশা করছেন, দাম ৩৬০ দিরহামে নামবে। তবে বাস্তবে সেই আশা পূরণ হচ্ছে না।
এই পরিস্থিতিতে ডিএসএস ২০২৫-এর র্যাফেল অফার কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে খুচরা বিক্রেতাদের। এবার মাত্র ১ হাজার দিরহাম খরচ করলেই র্যাফেল ড্রতে অংশ নেয়া যাচ্ছে, যেখানে আগে লাগত ১ হাজার ৫০০ দিরহাম।
তবে বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই গ্রীষ্মকাল গয়নার বাজারের জন্য কোভিড-পরবর্তী সময়ের মধ্যে সবচেয়ে দুরূহ। এক বিক্রেতার ভাষ্য, স্বর্ণের দাম প্রতিদিন ওঠানামা করায় কেউ এখন ডিজাইনার গয়না কিনতে চাচ্ছেন না। সবাই অপেক্ষায় আছেন দামে স্থিতিশীলতা আসবে কিনা।
এদিকে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হয়ে যাওয়ায় অনেকেই দেশ ছেড়ে যাচ্ছেন। ফলে আগামী দিনে স্বর্ণের দোকানগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরআর/টিকে