এখন সময়টা টি-টোয়েন্টির! মারাকাটারি ও আগ্রাসী পারফরম্যান্সে ফরম্যাটটিতে একের পর এক রেকর্ড ভাঙা-গড়া যেন নিয়মিত রুটিনে পরিণত হয়েছে। সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে ২০০ বা এর বেশি লক্ষ্যতাড়া করার রেকর্ড গড়েছে বুলগেরিয়া। জিব্রাল্টারের দেওয়া ২৪৫ রানের লক্ষ্য তারা মাত্র ১৪.২ ওভারেই পেরিয়েছে। এক্ষেত্রে বুলগেরিয়ার রানরেট ছিল ১৭.০২।
ক্রিকেটের বাইবেল হিসেবে প্রখ্যাত সাময়িকী ‘উইজডেন’ এটিকে ২০০ বা এর বেশি রানের লক্ষ্য তাড়ায় সবচেয়ে দ্রুততম বলে উল্লেখ করেছে। এর আগে টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম ২০০ রান তাড়ার রেকর্ড গড়েছিল সার্বিয়া। স্লোভেনিয়ার দেওয়া লক্ষ্য তারা পেরোয় ১৪.১ ওভার ও ১৪.১১ রানরেটে।
তবে টি-টোয়েন্টিতে ন্যূনতম ১৫০ রান তাড়ায় বুলগেরিয়ার ওপরে আছে আরেকটি ইনিংস। ২০২৪ আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে লখনৌ সুপার জায়ান্টস আগে ব্যাট করে তোলে ১৬৫ রান। লক্ষ্য তাড়ায় তাদের বোলারদের ওপর রীতিমতো ঝড় বইয়ে দেন হায়দরাবাদের দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা। ফলে মাত্র ৯.৪ ওভারেই ১২.২৭ রানরেটে দলটি জয় তুলে নেয়। টি-টোয়েন্টিতে এটি সর্বোচ্চ রানরেট নিয়ে (ন্যূনতম ১৫০ বা এর বেশি) লক্ষ্য তাড়া করার রেকর্ড বলে উল্লেখ করেছে ইএসপিএন ক্রিকইনফো।
দ্রুততম সময়ে প্রায় আড়াইশ রান তাড়ায় অবশ্য বুলগেরিয়াই থাকছে সবার ওপরে। বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়ায় চলছে স্বাগতিক দেশসহ জিব্রাল্টার ও তুরস্কের ত্রিদেশীয় সিরিজ। এর মধ্যে এক ম্যাচে বুলগেরিয়ার বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে জিব্রাল্টার নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৪৩ রান তোলে। তাদের পক্ষে ওপেনার ফিলিপ রাইকিস সর্বোচ্চ ৩৩ বলে ৭৩, অধিনায়ক ইয়েন ল্যাটিন ২৮ বলে ৫১ রান করেন। বিপরীতে বুলগেরিয়ার জ্যাকব গুল নেন ৪ উইকেট।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় যেমন আগ্রাসী হওয়া প্রয়োজন ছিল সেভাবেই ব্যাট চালিয়েছে স্বাগতিক বুলগেরিয়া। দুই ওপেনার ইসা জারু ও রিস্টো ল্যাকভ মাত্র ৪.২ ওভারেই তুলে নেন ৬২ রান। ল্যাকভ ১৯ রানে আউটের পর জারু ও মিলান গোগেভ মিলে নতুন করে ঝড় তোলেন। জারু আউট হওয়ার আগে করেছেন ২৪ বলে ৬৯ রান। এ ছাড়া গোগেভ ২৭ বলে ৬৯ এবং মান্নান বশির ২১ বলে ৭০ রানের তাণ্ডবে ১৪.২ ওভারে বুলগেরিয়ার জয় নিশ্চিত করেন।
টিকে/