ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রতিবাদ এবং চাঁদাবাজি ও মব জাস্টিস বন্ধের দাবিতে শরীয়তপুর প্রান্তের পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় যুব শক্তি ও সাধারণ জনগণ।
শনিবার (১২ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ চলে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে। এ সময় পদ্মা সেতু দিয়ে সকল ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে সেতুর দুই প্রান্তে যানজটের সৃষ্টি হয়।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী সোহাগকে পাথর দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে যুবদলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, যুবদল নেতাদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ীতে শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগও ওঠে।
তারা আরও বলেন, সারা দেশে মব জাস্টিসের নামে মানুষ হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে চলেছে, যা এখনই বন্ধ করা না হলে সামাজিক নিরাপত্তা ভেঙে পড়বে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শরীয়তপুর জেলার মুখ্য সংগঠক আমিন মোহাম্মদ জিতু বলেন, মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে সোহাগকে যে বর্বরভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। চব্বিশ পরবর্তী বাংলাদেশে এমন মব জাস্টিস ও চাঁদাবাজি চলতে পারে না। আজকের অবরোধ শুধুই শুরু, দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি আসবে।
সংগঠনটির আহ্বায়ক ইমরান আল নাজির হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এটি ছিল ট্রেইলার মাত্র। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সোহাগ হত্যার বিচার ও চাঁদাবাজদের গ্রেফতার না করলে দেশজুড়ে বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসাইন বলেন, বিক্ষোভকারীরা মিটফোর্ড হত্যার বিচার ও পদ্মা সেতু ভাঙন কবলিত এলাকায় স্থায়ী বাঁধের দাবিতে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেছে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে সরিয়ে দিয়েছি। পরে তারা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ করে।
কেএন/টিকে