এবারের এসএসসি পরীক্ষায় যশোরের পুলেরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩২৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের ৪৮ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়। পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর না পাঠানোয় এমন ঘটনা ঘটে।
ওই কেন্দ্রে ছয়টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেয়। ছয় স্কুল থেকে বিজ্ঞানে একজন পরীক্ষার্থীও পাস করেনি। ঘটনাটি বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়। রোববার সংশোধিত ফলে বিজ্ঞান বিভাগে সেই ৪৮ জন পরীক্ষার্থীই কৃতিত্বের সাথে পাস করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যশোরের পুলেরহাট হাইস্কুল কেন্দ্রে ছয়টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। বিদ্যালয়গুলো হচ্ছে, সাড়াপোল হাইস্কুল, ভাতুড়িয়া হাইস্কুল অন্ড কলেজ, চাঁচড়া হাইস্কুল, রুদ্রপুর হাইস্কুল, মাহিদিয়া হাইস্কুল, মেঘলা হাইস্কুল। ছয়টি বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী ছিল ৩২৯ জন। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থী ছিল ৪৮ জন। তাদের সবাইকে অকৃতকার্য দেখানো হয়।
ফল বিশ্লেষণ করে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা দেখেন, রসায়নে সবাই অকৃতকার্য হয়েছে। এরপর ছয় স্কুলের প্রধানরা কেন্দ্রসচিব খানজাহান আলীকে ফল সংশোধনের জন্য যশোর শিক্ষা বোর্ডে আবেদন করতে বলেন।
কেন্দ্রসচিবের আবেদনের প্রেক্ষিতে শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষের নজরে ৪৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কারো রসায়নে ব্যবহারিক নম্বর যুক্ত হয়নি বলে পরিলক্ষিত হয়। সেজন্য মূলত সবাইকে ফেল দেখানো হয়েছে। ব্যবহারিক নম্বর যুক্ত করার পর সবাই পাস করেছে। ৪৮ জনের মধ্যে ১০ জন জিপিএ-৫ ও ৩৮ জন এ গ্রেড পেয়েছে।
কেন্দ্রসচিব খানজাহান আলী জানান, তিনি যথাসময়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা নম্বর অনলাইন ও ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে প্রেরণ করেছেন। যাবতীয় ডকুমেন্ট তার কাছে রয়েছে। তারপরও কেন এ রকম হলো শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবেন। তবে রসায়ন পরীক্ষার ব্যবহারিক নম্বর যুক্ত করার পর ৪৮ জনই কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করেছে।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবদুল মতিন বলেন, ৪৮ পরীক্ষার্থীর রসায়নের ব্যবহারিক নম্বর যোগ করা হয়নি। সেইজন্য তাদের ফেল দেখানো হয়। বিষয়টি নজরে আসার পরে কেন্দ্রসচিবের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই করে ব্যবহারিক নম্বর যুক্ত করা হয়। ব্যবহারিক নম্বর যুক্ত করার পর সবাই পাস করেছে। কেন এ ধরনের একটি বড় ভুল হলো তার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেএন/টিকে