বয়স ৩৮ ছুঁয়েছে, জাতীয় দলে নিয়মিত নন - তবু ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা আর দায়বদ্ধতায় একটুও ভাটা পড়েনি সাকিব আল হাসানের। মাঠে পারফরম্যান্স আর মনের কথায় তিনি বুঝিয়ে দিলেন, তিনি এখনও সেই কিশোর বয়সের সাকিবই, যার হৃদয়ে ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা একইরকম তাজা।
বর্তমানে গ্লোবাল সুপার লিগ (GSL)-এ দুবাই ক্যাপিটালস দলের হয়ে খেলছেন এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। দলটির তিনটি ম্যাচেই খেলেছেন সাকিব, যার মধ্যে প্রথম ম্যাচেই রেখেছেন দারুণ ছাপ। বল হাতে ৪ উইকেট এবং ব্যাট হাতে অপরাজিত ৫৮ রানের ইনিংস খেলে দলকে ২২ রানে জয় এনে দেন তিনি।
আজকের ম্যাচের আগে সম্প্রচারকারীদের সঙ্গে আলাপকালে সাকিব বলেন,
"আমি এখনও ঠিক আগের মতোই ক্রিকেটকে ভালোবাসি, যেমনটা করতাম অনূর্ধ্ব-১৫ বা অনূর্ধ্ব-১৯ দলে থাকাকালীন। সেই ভালোবাসায় এতটুকু ভাটা পড়েনি। যতদিন উপভোগ করব, ততদিন খেলব। যেদিন মনে হবে ভালো লাগছে না, সেদিনই বিদায় নেব।"
এই কথাগুলো শুধু একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের আবেগ নয়, বরং একজন প্রকৃত পেশাদার খেলোয়াড়ের মানসিকতা তুলে ধরে - যিনি দলীয় রাজনীতির বা আলোচনার কেন্দ্রে না থেকেও এখনও নিজেকে প্রমাণ করে চলেছেন মাঠে।
দ্বিতীয় ম্যাচে তেমন আলো ছড়াতে না পারলেও, দুবাই ক্যাপিটালস কর্তৃপক্ষ তার ওপর আস্থা হারায়নি - আজকেও তাকে একাদশে রাখা হয়েছে। এ থেকেই বোঝা যায়, সাকিবের অভিজ্ঞতা ও সামর্থ্য কতটা মূল্যবান।
তার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ও প্রতিশ্রুতিশীল মানসিকতা দেখে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা আবারও তাকে জাতীয় দলে দেখতে চাচ্ছেন। সামনে বড় বড় টুর্নামেন্ট, দলেও অভিজ্ঞতার ঘাটতি - এই অবস্থায় অনেকেরই দাবি, মাঠে ও ড্রেসিংরুমে নেতৃত্বদানে সাকিবের মতো খেলোয়াড়ের প্রভাব এখনো অপরিসীম।
সাকিব আল হাসান হয়তো আজ জাতীয় দলে নিয়মিত নন, তবে খেলাটির প্রতি ভালোবাসা ও পারফরম্যান্স দিয়ে তিনি বারবার প্রমাণ করে চলেছেন, তিনিই এখনও বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে মূল্যবান এক অধ্যায়।
টিকে/