পুরাণ মতে, শ্রাবণ মাস শিবের মাস। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, যাঁরা মহাদেবের ভক্ত তাঁরা সোমবার শিবলিঙ্গে জল ঢেলে পুজো করেন, নিরামিষ খান। যাঁরা প্রতি দিন পুজো করতে পারেন না তাঁরা অন্তত শ্রাবণ মাসের চারটি সোমবার নিয়ম পালনের চেষ্টা করেন। ১৮ জুলাই, শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে শ্রাবণ মাস। তার আগেই সোমবার মন্দিরে গিয়ে শিবপুজো করলেন মিমি চক্রবর্তী। সাদা সালোয়ার-কামিজে রঙিন ফুলের গুচ্ছ। এ দিন তিনি নিষ্ঠাভরে শিবলিঙ্গ দুধ দিয়ে স্নান করান। সাজান ধুতরো ফুলের মালায়। পাঁচ রকম ফল দান করেন দেবতার উদ্দেশ্যে।
টলিউড জানে মিমির শিবভক্তির কথা। পশুপ্রেম এবং ঈশ্বরভক্তির কারণে তিনি আমিষ খাবার ছেড়েছেন। খবর, মিমি মাছ, মাংস খান না! তাঁর বাড়িতেও শিবলিঙ্গ রয়েছে। প্রতি শিবরাত্রিতে সেখানে পুজো সারেন তিনি।
পাশাপাশি, মন্দিরেও যান। এ ছাড়া, তাঁর হাতে নৃত্যরত নটরাজের উল্কি রয়েছে।
একই পথের পথিক অপরাজিতা আঢ্যও। তিনি বলেন, “আমার শিবভক্তির কথা সকলেই জানেন। সুযোগ পেলে মহাকাল মন্দিরে যাই পুজো দিতে।” তিনিও প্রতি সোমবার নিরামিষ খান। বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত শিবলিঙ্গে জল ঢালেন। জ্যোতিষ মতে, সোমবার সাদা পোশাক পরলে শুভফল পাওয়া যায়। অভিনেত্রী বলেন, “সে সব অবশ্য মানতে পারি না। শুটিং থাকলে পোশাকের রং বাছা সম্ভব নয়।”
মহালয়ায় ছোট পর্দার ‘মহিষাসুরমর্দ্দিনী’তে শিবরূপে দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন রোহন ভট্টাচার্য। বাস্তবে তিনি কি শিবভক্ত? প্রশ্ন রাখতেই অভিনেতার জবাব, “অবশ্যই ভক্ত। কিন্তু নিয়ম মেনে পুজো করি না। মহাদেব আমার কাছে ভীষণ আপন। যেন পরিবারের কেউ। পরিবারের কোনও সদস্যের জন্য কি আমরা আলাদা করে কোনও নিয়ম মানি?” অভিনেতার উপলব্ধি, “মনে ভক্তি থাকলেই ঈশ্বর তুষ্ট। বিপদে পড়লে ওঁকে স্মরণ করি। হাত ধরে পার করে দেন।”
এফপি/এস এন