বলিউড আর দক্ষিণী ছবির জগতে হঠাৎ যেন এক অদৃশ্য ভূমিকম্প—একের পর এক ছবির কাস্টিং বদলে যাচ্ছে। বাদ পড়ছেন পরিচিত মুখ, জায়গা নিচ্ছেন অপেক্ষাকৃত নতুন অভিনেত্রীরা। শুধু কাজ হারানোই নয়, আলোচনায় উঠে এসেছে চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে আসার ঘটনা, সৃষ্টিশীল মতভেদ, চাহিদা না মানার মতো নানা অন্দরকাহিনি।
সবচেয়ে চমকে দেওয়া ঘটনা ঘটেছে শ্রুতি হাসানকে ঘিরে। ‘ডাকইট’ নামের একটি ছবিতে মাঝপথেই অভিনয় বন্ধ করে বেরিয়ে যান তিনি। কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন ‘ক্রিয়েটিভ ডিফারেন্স’। তাঁর জায়গায় এখন সেই চরিত্রে অভিনয় করছেন মৃণাল ঠাকুর।
একইভাবে শ্রীলীলা পিছিয়ে গেছেন দুটি বড় প্রজেক্ট থেকে—‘অনগনগা ওকা রাজু’ এবং ‘লেনিন’। এই দুটি ছবিতে তার জায়গা নিয়েছেন যথাক্রমে মীনাক্ষী চৌধুরী এবং ভাগ্যশ্রী ভোর্সে।
সবচেয়ে স্পষ্ট পতনের চিত্র দেখা যাচ্ছে পূজা হেগড়ের ক্ষেত্রে। একের পর এক ব্যর্থ ছবির পর তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘উস্তাদ ভগত সিং’ এবং ধানুশের একটি পরবর্তী ছবির দল থেকে। প্রথমটিতে তাঁর জায়গায় এসেছেন শ্রীলীলা, আর দ্বিতীয়টিতে মমিতা বাজু।
অবাক করা ঘটনা ঘটেছে এমনকি দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গেও। 'স্পিরিট' ছবির জন্য দীপিকার কিছু দাবি না মানায়, শেষমেশ সেই চরিত্রে নেওয়া হয়েছে তৃপ্তি ডিমরিকে।
এইসব ঘটনা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, এই জগতে কেবল তারকাখ্যাতি বা পুরনো কৃতিত্বই যথেষ্ট নয়। বাজারের ব্যর্থতা, পরিচালকের সিদ্ধান্ত কিংবা প্রযোজকদের ভিন্ন পরিকল্পনায় মুহূর্তেই বদলে যেতে পারে কাস্টিং।
যেখানে একদিকে তৈরি হচ্ছে নতুনদের জন্য সুযোগ, অন্যদিকে প্রশ্ন উঠছে—তারকা নায়িকাদের ক্যারিয়ারে কি তবে নতুন মোড়?
এসএন