যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রফতানিতে যৌক্তিক শুল্ক হিসেবে ‘শূন্য’ শুল্ক নির্ধারণে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
সোমবার (১৪ জুলাই) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ অ্যাগ্রিমেন্টের খসড়া বিষয়ক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
বাণিজ্য উপদেষ্টার কাছে প্রশ্ন ছিল- যৌক্তিক শুল্কহারের কথা বলা হচ্ছে, আসলে কত শতাংশ শুল্ককে যৌক্তিক মনে করছেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘শূন্য’।
নেগোশিয়েশনের কোন পর্যায়ে আমরা রয়েছি– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা তো আলোচনা করি। আমাদের তো আশা আছে এটাকে (শুল্কহার) শূন্যতে নিয়ে আসার। তবে এ বিষয়ে আমাদের ‘নন ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট’ রয়েছে। সুতরাং অ্যাগ্রিমেন্ট বিষয়ক কোনো প্রশ্নের উত্তর আমরা দেব না।
তবে সার্বিকভাবে মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনাকে ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির দলের সঙ্গে বাংলাদেশি রফতানি পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের বিষয়ে আলোচনা যথেষ্ট ইতিবাচক হয়েছে। রফতানি পণ্যের ওপর যৌক্তিক শুল্ক হিসেবে শূন্য শুল্ক নির্ধারণ করা হবে, সেই আশা করে বাংলাদেশ।
স্থানীয় স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে আরেকটি প্রতিনিধি দল এ বিষয়ে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে যাবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে শুল্ক আরোপ নিয়ে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে নেগোসিয়েশন চলছে জানিয়ে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, সরকারের প্রচেষ্টায় ব্যবসায়ীরা সন্তুষ্ট। তবে, শুল্ক না কমালে আশঙ্কা থাকছেই।
এফপি/এস এন